আইএনবি ডেস্ক: শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে আজ রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে সীমিত আকারে গণপরিবহন ও লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এ ঘোষণায় মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী ও যাত্রীবাহী গাড়ির চাপ বেড়েছে। পাশাপাশি নৌপথে লঞ্চ চলাচলও শুরু হয়েছে। ঘাটে মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। স্বাস্থ্যবিধি নেই বললেই চলে।
শনিবার (৩১ জুলাই) থেকে গণপরিবহন চালুর ওই ঘোষণা রবিবার (০১ জুলাই) দুপুর ১২টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে বাস ও লঞ্চ চলাচল করার কথা থাকলেও তা কেউ মানছেন না।
বাংলাবাজার থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি লঞ্চ ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। ঘর ও লঞ্চ এলাকায় মানুষের চাপে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেউই। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে উঠছেন যাত্রীরা। শিমুলিয়া লঞ্চ টার্মিনাল লোকারণ্য, সেখানে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। একজন আরেকজনের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছেন লঞ্চে ওঠার অপেক্ষায়। বাসের টিকেট কাউন্টারেও ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড়। অনেক জায়গাতেই দেখা গেছে, বাসে অর্ধেক আসনের জায়গায় পূর্ণ সংখ্যক আসনেই যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব না মেনেই যাত্রীরা চলাচল করছেন।
লঞ্চগুলোও মানছে না নিয়ম। শতভাগ আসনে যাত্রী নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে এগুলো। কোনো কোনো লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানো হচ্ছে। শিমুলিয়া নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চের মধ্যে মাত্র ১৫টি চালু রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়াঘাট সহকারী ব্যবস্থাপক মাহবুব রহমান বলেন, ‘নৌরুটে ছোট-বড় মিলিয়ে বর্তমানে ১০ টি ফেরি ও ৮৬টি লঞ্চ সচল রয়েছে। আজও ফেরিতে প্রচুর যাত্রীরা আসছে। তবে লঞ্চ চালু হওয়ায় যাত্রীর চাপ কমেছে।’
আইএনবি/বিভূঁইয়া