২৫ বছর বয়সী গর্ভবতী পুরুষ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গর্ভবতী পুরুষ বলে খ্যাপাত পাড়াে লোক । তবে এসবে মোটেও কান দিতেন নাগপুরের সঞ্জু। কিন্তু সেই রসিকতাই যে জীবনে সত্যি হবে, তা কে জানত। সম্প্রতি জানা গেছে, ওই ব্যক্তি সত্যিই ‘গর্ভবতী পুরুষ’। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতের নাগপুরে।

জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে নাগপুরের বাসিন্দা সঞ্জু ভগৎ গর্ভধারণ করেন। তাও, এক সন্তান নয়, দুই সন্তানকে গর্ভে ধারণ করেছিলেন তিনি। যমজ সন্তানের সেই কথা কিন্তু এতদিন তার নিজের কাছেও অজানা ছিল। সবাই ঠাট্টা করলেও তিনি চিকিৎসকদের কাছে যাননি। কিন্তু দিন দিন পেট এমনভাবে ফুলতে শুরু করে যে শ্বাস নেওয়াই অসম্ভব হয়ে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালের দ্বারস্থ হন তিনি। এরপর জানতে পারেন সেই চমকে দেওয়ার মতো সত্যি। একটি নয় দুটি ভ্রণ তার পেটে রয়েছে। যা দেখে রীতিমতো হতভম্ব হয়ে যান চিকিৎসকদল।

শল্য চিকিৎসক অজয় মেহেতা বলেন, সঞ্জুর পেট কাটার পর হাত ঢুকিয়ে এক শিশুর পা, চুল-সহ বিভিন্ন দেহাংশের সন্ধান পাওয়া যায়। আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। সংশয় ও বিস্ময়ও জাগছিল। মনে হচ্ছিল ওই ব্যক্তির পেটের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে কারও সঙ্গে হাত মেলাচ্ছি! ভয়ানক চমকে গিয়েছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই বিশেষ শারীরিক অবস্থাকে বলে ‘ফেটাস ইন ফেটু’। এক্ষেত্রে ভ্রূণের ভিতরে একটি অপরিণত শিশু জন্ম নেয়। পরজীবীর মতো একটি ভ্রূণের শরীরের ভিতরে বেড়ে ওঠে সেই অন্য ভ্রূণটি। তবে শেষ পর্যন্ত দু’টি ভ্রূণই মারা যায়। অস্ত্রোপচারের পর সেই ভ্রূণ দু’টির খোঁজ পান চিকিৎসকরা। তবে বিশেষজ্ঞদের কথায়, এমন পরিস্থিতি অত্যন্ত বিরল। প্রতি ৫ লাখ গর্ভধারণের মধ্যে একটি ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটে।’

জানা গেছে, সঞ্জুর ২০ বছর বয়স থেকেই একটু একটু করে পেট ফুলতে থাকে শুরু করেছিল। অবশেষে এত বছর পর থাকতে না পেরে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন তিনি।

আইএনবি / বিভূঁইয়া