বিশ্বে কমছে বেকারত্ব, পিছিয়ে এশিয়া

আসাদুজ্জামান আজম :
বিশ্ব জুড়ে গত বছর তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব কমে ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। এই ধারাবাহিকতা ২০২৫ সাল নাগাদ অব্যাহত থাকতে পারে। তবে দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছে এশিয়া। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

আজ  সোমবার (১২ আগস্ট) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আইএলও বলছে, গত বছর বিশ্ব জুড়ে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী ৬ কোটি ৪৯ লাখ তরুণ বেকার ছিলেন। সে হিসাবে বেকারত্বের হার ছিল ১৩ শতাংশ। চলতি ও আগামী বছর এই হার আরও কমে ১২ দশমিক ৮ শতাংশে নামতে পারে।

জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থাটির পর্যবেক্ষণ হলো, করোনা মহামারীর পর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এর ফলে শ্রমবাজারে তরুণদের চাহিদাও অনেক বেড়েছে। এ বিষয়টিই মূলত তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব কমার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে।

২০২৩ সালে তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার কমে তা মহামারী-পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেছে। কিংবা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তার চেয়েও নিচে নেমেছে। তবে সব উপ-অঞ্চলের পরিস্থিতি একই নয়।

আইএলওর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর আরব দেশগুলো, পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার ২০১৯ সালের চেয়ে বেশি ছিল।

অবশ্য গত বছর প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের বেকারত্বের আগের বছরের ৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে; যা ২০২১ সালের নভেম্বর মাসের দেশটির জন্য সর্বোচ্চ।

অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের অফিস অব দ্য ন্যাশনাল স্ট্যাটাসটিকারের সাম্প্রতিক সময়ের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসে দেশটিতে বেকারত্বের হার ছিল ৪ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২০২১ সালের পর সর্বোচ্চ। বিবিসি বলছে, প্রকৃতপক্ষে দেশটিতে বেকার আছে ১ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন মানুষ।

শুধু যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্র নয়, ভারতেও ওই বছরের মাঝামাঝিতে প্রকাশিত সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী বেড়েছে বেকারত্ব। দেশটির পিরিওডিক লেবার ফোর্স সার্ভের মে মাসের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যেই বেকারত্বের হার ১৭ শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

তবে ইউরোপীয় অঞ্চল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে বেকারত্বের হার গত বছর ছিল যথেষ্ট স্থিতিশীল। ইউরোস্ট্যাটের তথ্য বলছে, ইউরোপীয় অঞ্চলে বেকারত্বের হার ছিল ৬ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ১ শতাংশ কম এবং চলতি বছরের এপ্রিল মাসের সঙ্গে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

 

এএ/বি.