আখাউড়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সোমবার সন্ধ্যায় নুরপুর গ্রামের নিজের বাড়িতে এক নারীকে পুলিশ জোর করে আটক করে থানায় আনার চেষ্টা করায় ক্ষোভে পুলিশের সামনেই বিষপান করেছে। বর্তমানে ওই নারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। ওই নারী উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
ওই নারীর মা শাহানা বেগম বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় আখাউড়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল আজিজ মহিলা পুলিশসহ ৮-১০ জন পুলিশ নিয়ে আমার বাড়িতে এসে আমার মেয়েকে জোর করে আটক করে থানায় নিয়ে যেতে চায়। আমার মেয়ে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করে। সে বলে আমার দুইটা ছেলে আছে, আমার স্বামী পাগল। আমি থানায় যাব কেন। এ সময় আজিজ দারোগা বলে ওসি সাহেব তাকে নিয়ে যেতে বলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ সময় আমি পুলিশকে বলি, আমার মেয়ের হার্টের অসুখ, তাকে নিয়েন না। দরকার হলে আমি থানায় যাব। এ সময় পুলিশ জোরাজোরি করে আমার মেয়েকে ধরে নিতে চাইলে সে বোরকা পরার কথা বলে ঘরে গিয়ে বিষপান করে। পরে আমরা মেয়েকে প্রথমে আখাউড়া হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান স্টমাক ওয়াশ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে আমার মেয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’
এ ঘটনায় আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. লুৎফুর রহমান বলেন, রোগীর স্টমাক ওয়াশ করে বিষ পাওয়া গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু মাদক উদ্ধার হয়েছিল। আমাদের কাছে তথ্য ছিল মাদকগুলো তাদের। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মৌসুমিকে থানায় আনতে আমি পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। তবে তার বিরুদ্ধে কোনো ওয়ারেন্ট ছিল না। তার ঘরেও কিছু পাওয়া যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় যদি এএসআই আজিজের কোনো অপরাধ থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আইএনবি/বিভূঁইয়া