আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে শনিবার সন্ধ্যায় একটি মাইক্রোবাসে বিস্ফোরণে আফগান টেলিভিশন চ্যানেলের এক সাংবাদিক-সহ দু’জন নিহত হয়েছেন। অপর জন চ্যানেলের টেকনিশিয়ান বিভাগের কর্মী। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭ জন। আফগান টিভি চ্যানেলটির প্রধান নির্বাহী জানান, বেসরকারি বাসটিতে তাদের চ্যানেলের কর্মীরাই ছিলেন। আহত সাত জনের মধ্যে ছ’জনই সাংবাদিক। বাকি একজন বাসটির চালক।
আল জাজিরা, মিডিলিস্ট আই, এই সময়
এ হামলার দায় অস্বীকার করেনি তালেবানরা। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, কোনও তালিবান যোদ্ধা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। রাত পর্যন্ত অন্য কোনও জঙ্গি সংগঠনও এই হামলার দায় নেয়নি।
দেশটির সরকারি চ্যানেল খুরশিদ টিভির প্রধান নির্বাহী মহম্মদ রফি রফিক সেদিকি জানান, গাড়িতে বিস্ফোরণে চ্যানেলর বিজনেস রিপোর্টার মির ওয়াহেদ শাহ ও টেকনিক্যাল বিভাগের কর্মী শফিক আমিরি নিহত হয়েছেন। চ্যানেলটির আরও ছয় সাংবাদিক ও চালক আহত হওয়ার খবরও তিনি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, খুরশিদ টেলিভিশনের কর্মীদের প্রতিদিনের আনা-নেয়ার কাজে একটি বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে মাইক্রোবাসটি ভাড়া করা হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, বাসের নীচে বোমাটি লুকানো ছিল। সন্ধ্যার দিকে বাসটিতে বিস্ফোরণ ঘটে।
গত বছর একই ধরনের আর একটি হামলায় খুরশিদ টেলিভিশনের দুই কর্মী নিহত ও আরও দু’জন আহত হয়েছিলেন।
আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের তথ্য অনুযায়ী, আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম গুলোর জন্য সবচেয়ে প্রাণঘাতী বছর ছিল ২০১৮ সাল। ওই বছর তালিবান-সহ অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীর একাধিক হামলায় মোট ১৫ সংবাদিক নিহত হন।
এছাড়া ২০১৬ সালে আত্মঘাতী তালিবানি হামলায় আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় বেসরকারি সংবাদমাধ্যম টলো টেলিভিশনের সাত সাংবাদিক নিহত হয়েছিলেন। গাড়িতে বোমা মজুদ করে, সংবাদমাধ্যমের গাড়িতে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল এই তালিবানরা। পরে তদন্তে জানা যায়, টলো টিভিতে মার্কিন সামরিক বাহিনী ও আফগানিস্তান সরকারের পক্ষে অধিক পরিমাণে প্রচার প্রচারণা চালানো হত। তার ফলেই তালেবানদের রোষানলে পড়েছিল চ্যানেলটি।
আইএনবি/বি.ভূঁইয়া