নিজস্ব প্রতিনিধি: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৪ ঘণ্টা ধরে অবরোধ করে রেখেছিল পরিবহন শ্রমিকরা।
সম্প্রতি দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর লক্ষ্যে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে ঘরে থাকা বাধ্যতামূলক করে গণপরিবহন বন্ধসহ সারাদেশে চলছে লকডাউন। তাতে কর্মহীন হয়ে পড়ে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব অঞ্চলের অন্যান্য পেশার মানুষদের মত পরিবহন শ্রমিকদের।
পরিবহন শ্রমিক মোঃ পারভেজ আইএনবিকে বলেন, দুই মাস ধরে পরিবহন না চলায় আমরা কর্মহীন হয়ে পড়েছি। অথচ আমাদেরকে কেউ কোন সাহায্য সহযোগিতা করেনি। আমাদের শ্রমিকদের কষ্ট দেখার কেউ নেই। আজ আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে অসহায়ত্বের জীবন-যাপন করছি। কিন্তু যখন আমরা রাস্তায় গাড়ি চালিয়েছি তখন দিনের পর দিন আমাদেরকে মোটা অংকের চাঁদা দিতে হয়েছে। এই চাঁদার ভাগ পুলিশ প্রশাসনসহ সবাই নিয়েছে। অথচ আজকে করোনার এই দুর্দিনে আমাদের পাশে কেউ নেই। তারই প্রতিবাদে আমাদের এই বিক্ষোভ।
আজ শনিবার (৯মে) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১.৩০মি. পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়।
যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করলে বাকবিতর্কের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ প্রশাসন তাদের বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট তোলে ধরার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা অবরোধ তোলে নেন।
আইএনবি/সম্পাদনা-এমডি বাবুল ভূঁইয়া