আইএনবি বিশেষ প্রতিনিধি : ঢাকা জেলার সাভার উপজেলায় ভুঁইফোড় সংবাদ পত্র আর চাঁদাবাজ, ভূয়া ও অযোগ্য সংবাদ কর্মীতে সয়লাব ! দেখার যেনো কেউ নেই?
ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপজেলা সাভার ! স্থানীয় বাসিন্দাদের সহজ সরলতা আর অল্প শিক্ষার সুযোগে, বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়ে এখন সাভার একটি জনবহুল উপজেলা ! যেখানে রাজত্ব ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা আর ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা সংবাদ মাধ্যম ! তেমনি এক পরগাছা চাঁদাবাজ ও তদ্বির বাণিজ্য করা দালাল সাভারের কথিত সাংবাদিক – কামরুজ্জামান হিমু ।

ফ্যাসিস হাসিনা সরকারের আমলে আওয়ামি নেতা, আমলা, মন্ত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে ! সেই ছবিকে চালান বানিয়ে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে নিজেকে আওয়ামী উপাধিতে ভূষিত করা এই সেলফিবাজ হিমুর কাজই ছিল ঢাকা জেলার উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের ভুমি অফিস। বিভিন্ন ধরনের নামজারি আর তদ্বির। ভুমি অফিস কর্মকর্তা বা কর্মচারী যে কেউই তার কথা মতো কাজ না করলেই ভুয়া ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে মিথ্যা সংবাদ তৈরি করে অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে সম্মানহানী করে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের কাছ থেকে উৎকোচ ফিটিং কিম্বা চাঁদা আদায় করেই যার সংসারে জ্বলে চুলা! সাভার উপজেলার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এই আটকে পরা পাকিস্তানি হিমুর চাঁদাবাজির খবর প্রচার হয়েছে বহুবার। সাভারের বেশির ভাগ সংবাদকর্মীই এই হিমুকে চাঁদাবাজীর জন্য পছন্দ করেনা।

বিভিন্ন সময় সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট জমির দালালি করে নামজারি করিয়ে দিতে তদ্বির করে এই হিমু। আর সরকারি স্বার্থ রক্ষায় তার প্রস্তাব না করলেই তার রোষানলে পড়তে হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। খোজ নিয়ে জানা যায় – সাভারের উপজেলার আমিনবাজার সার্কেল ভুমি অফিসে নিয়মিত তদ্বির বাণিজ্য বা দালালি করতে যেত এই হিমু ! আর, তারই রোষানলের শিকার হয়েছেন সাভার উপজেলার আমিনবাজার সার্কেল এর ভুমি সহকারি কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম। হিমুর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের অন্যায় আবদার এর চাহিদা পূরণ না করলেই – ভূয়া ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে মিথ্যা সংবাদ তৈরি করে অনলাইন পত্রিকায় প্রচার করে মানহানি করে হুমকি ও চাঁদা দাবি করে এই দালাল ও কথিত সাংবাদিক হিমু ! নিজের মান সম্মান ও জান মাল এবং সরকারি স্বার্থ রক্ষায় অতিষ্ট হয়ে দালাল হিমু, লাভু ও অজ্ঞাত আরো কয়েক জনের নাম উল্লেখ করে সাভার মডেল থানায় একটি জিডি করতে বাধ্য হয়েছেন আমিনবাজার রাজস্ব সার্কেল ভুমি সহকারি কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম।
আইএনবি/নিউজ / এ আর/বিভূঁইয়া