কম তেলে রান্না করার ছোট ৯টি কৌশল

স্বাস্থ্য ডেস্ক: চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদেরা কম তেলে রান্না করার জন্য সুপারিশ করছেন চারদিকে। লিভার ভাল রাখা থেকে শুরু করে ওজন কমানো, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে হার্টের যত্ন নেওয়া— এমনই নানা কারণে কম তেলে রান্নার হয়ে সওয়াল করছেন তাঁরা। কিন্তু ভোজনরসিক থেকে রাতারাতি স্বাস্থ্যসচেতন হয়ে ওঠা মোটেই সহজ নয়। তবে কম তেল দিয়েও সুস্বাদু রান্না করা যায়! অনেকেই এখন নতুন অভ্যাসে অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করছেন। আপনিই বা বাদ যাবেন কেন? সুস্বাদু, মুখরোচক রান্নার তৃপ্তি থেকে বঞ্চিত হতে হবে না, কেবল জেনে নিতে হবে, কী ভাবে কম তেলে রাঁধা যায়।

পুষ্টিবিদ রেশমী রায়চৌধুরী তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো করে ৯টি পন্থার কথা উল্লেখ করেছেন। এই পদ্ধতিগুলি প্রয়োগ করলে রান্নার উপকরণগুলি খুব বেশি তেলের দাবি জানাবে না, স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।

কম তেলে রান্নার ৯টি কৌশল—
১. বোতল থেকে সরাসরি কড়াইয়ে বা প্যানে তেল ঢালবেন না। তাতে আন্দাজে হেরফের হয়ে যায়। চামচে হিসেব করে করে ঢাললে অতিরিক্ত তেল খরচ হবে না। তবে সেরা উপায় হিসেবে পুষ্টিবিদ স্প্রে বোতল ব্যবহারের কথা বলেছেন। তাঁর মতে, স্প্রে বোতলে তেল ভরে রেখে সেখান থেকে ক়়ড়াইয়ে দিলে অল্প তেলেই সুন্দর রান্না হয়ে যায়। অথবা ব্রাশ করেও তেল যোগ করতে পারেন।

২. ভাজার আগে তেল যথেষ্ট পরিমাণে গরম হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া উচিত। গরম না হতেই সব্জি বা মাছ ছেড়ে দিলে অতিরিক্ত তেল শোষিত হয়।

৩. রান্নার সময়ে অতিরিক্ত তেল দিয়ে ফেলেছেন। খানিক পরেই সে তেল ভেসে উঠছে কড়াইতে। তৎক্ষণাৎ একটি টোটকা ব্যবহার করলে খাবার থেকে অতিরিক্ত তেল সরিয়ে ফেলা যেতে পারে। রান্নার পর ঝোলে কয়েকটি বরফের টুকরো ফেলে দিন। সঙ্গে সঙ্গে তেল শোষণ করতে শুরু করবে আইস কিউবগুলি। খুব বেশি ক্ষণ ঝোলে বরফ ফেলে রাখবেন না। কিউবের গায়ে তেলের আস্তরণ তৈরি হলেই হাতা দিয়ে সেগুলি তুলে ফেলুন। এতে ঝোল থেকে অনেকখানি তেল কমে যাবে।

৪. যদি পরোটা ভাজতে চান, তা হলে আগে সেঁকে নিলে কম তেলেই সুন্দর তৈরি হয়ে যাবে।

৫. তেলে সব্জি ভেজে নিয়ে তার পর তরকারি রান্না করবেন? এই ধাপেই অতিরিক্ত তেল খরচ হয়ে যায়। সেটি এড়াতে সব্জিগুলিকে আগে ভাপে সেদ্ধ করে নিতে পারেন। তার পর তেলে রান্না করুন। এতে কম তেল ব্যবহার হবে।

৬. রান্না করতে করতে অনেক সময়ে মনে হতে পারে, আরও একটু তেলের প্রয়োজন পড়ছে। সে ক্ষেত্রে তেলের বদলে জলের ছিটে দিয়ে রান্না করতে পারেন। সব্জি সেদ্ধ হয়ে যাবে তাতেও। স্বাদেও খুব হেরফের হবে না।

৭. ছাঁকা তেল বা ডিপ ফ্রাইয়ের বদলে অন্যান্য উপায়ে রান্না করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এয়ার ফ্রায়ার হোক বা ভাপানো, রোস্টিং হোক বা বেকিং, এমন বিভিন্ন পন্থায় সুস্বাদু খাবার বানানো যেতে পারে।

Advertisement

আরও পড়ুন:
test
লটে, কাচকির একঘেয়েমি কাটাতে এই শীতে সিদল শুঁটকি রাঁধতে পারেন, পেঁয়াজ-রসুনেই বাজিমাত
Advertisement

৮. নন-স্টিক প্যানে রান্না করার পরামর্শ দিচ্ছেন রেশমী। তাঁর মতে, এ ধরনের বাসনে কম তেলে নিখুঁত রান্না করা যেতে পারে।

৯. পুষ্টিবিদের কথায়, ‘‘এই কৌশলটি সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। চেষ্টা করুন, প্রতি মাসে মাথাপিছু অর্ধেক লিটারের কম তেল ব্যবহার করতে। এই ছোট্ট পরিবর্তনে আপনার এবং আপনার পরিবারের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।’’

আইএনবি/বিভূঁইয়া