আইএনবি ডেস্ক: টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। ফলে বুধবার (২০ আগস্ট) রাত ৮টায় দ্বিতীয় দফায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান।
তিনি জানান, বর্তমানে হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৮.৩৫ ফুট মিন সি লেভেল (MSL), যা বিপদসীমার প্রায় কাছাকাছি। উজান ও ভাটিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের স্বার্থে জলকপাট খুলে পানি ছাড়ার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বর্তমানে কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ২২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে বলে জানান প্রকৌশলী মাহমুদ।
এর আগে মূষুল ধারে বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রভাহিত হওয়ায় সোমবার (০৪ আগস্ট) দিনগত রাত ১২ টা ৫ মিনিট থেকে কাপ্তাই বাঁধের ১৬ জলকপাট ছয় ইঞ্চি খুলে দিয়ে সেকেন্ডে নয় হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছিলো।
এরপর মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট) দিনগত রাত ১১ টা থেকে ১৬ জলকপাট দেড় ফুট খুলে দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৩০ হাজার কিউসেক পানি, বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১টা থেকে জলকপাট আড়াই ফুট খুলে দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৪৯ হাজার কিউসেক পানি, বুধবার (০৬ আগস্ট) রাত ১১ থেকে জলকপাট তিন ফুট খুলে দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৫৮ হাজার কিউসেক পানি এবং বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে জলকপাট সাড়ে ৩ ফুট খুলে দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৬৮ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছিলো।
এরপর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ১২ আগস্ট সকাল ৮টায় পানি ছাড়ার কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ
আইএনবি/বিভূঁইয়া