আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি মেনে প্রথমবাবের মতো রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ করল বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বুধবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক এতদিন যে পদ্ধতিতে হিসাব করে আসছে তাতে রিজার্ভ দেখানো হয়েছে ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার।
আইএমএফের সদস্য দেশ হিসেবে বেশ আগ থেকে ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন (বিপিএম৬) ম্যানুয়াল অনুযায়ী রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ করার পরামর্শ দিয়ে আসছে সংস্থাটি। সর্বশেষ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ পদ্ধতিতে হিসাব প্রকাশের সুপারিশ করা হয়। বারবার তা নাকচ করে আসছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে সংস্থাটি থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার আশ্বাসের পর এখন তাদের পদ্ধতি মেনে রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ করা হলো।
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত এই হিসাব গ্রস রিজার্ভ হিসেবে বিবেচিত। আইএমএফের পদ্ধতির আলোকে এখান থেকে সরকারকে আগামী একবছরে যেসব দায় পরিশোধ করতে হবে তাসহ কিছু বিষয় বাদ দিয়ে নিট রিজার্ভের হিসাব হবে। নিট রিজার্ভ শুধু আইএমএফকে দিলেও তা প্রকাশ করা হবে না বলে গত জুনে মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
আইএমএফের ঋণের শর্তের আলোকে বিপিএম৬ অনুযায়ী, চলতি বছরের জুনে রিজার্ভ হওয়ার কথা ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। আগামী সেপ্টেম্বরে তা ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন এবং আগামী ডিসেম্বরে ২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারের উন্নীত করতে হবে। ডলার সঙ্কটের এসময়ে রিজার্ভের অবস্থান ধরে রাখতে আমদানি খরচ কমানোর পাশাপাশি বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার পর চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত আমদানি কমেছে ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ। রপ্তানিতে ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং রেমিট্যান্সে ১ দশমিক ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আছে। তবে বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণ দ্রুত কমে যাওয়ায় রিজার্ভ আশানুরুপ বাড়েনি। দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল ২০২১ সালের আগস্টে।
এনএ/জেডএইচ