স্পেস-এক্সের রকেট ভেঙে পড়লো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:স্পেস-এক্সের রকেটের পরীক্ষা সফল হলো না। যাত্রা শুরু ঠিকভাবে হয়েছিল। কিন্তু ল্যান্ডিং করার সময় ভেঙে পড়লো রকেটটি। রকেট ঠিকভাবে যাত্রা শুরু করেও ল্যান্ডিং-এর সময় আগুন লেগে ভেঙে যায়। রকেটটি সব মিলিয়ে সাড়ে ছয় মিনিট চালু ছিল।

এরকমই একটি রকেটে করে মানুষ ও মালপত্র নিয়ে মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার কথা স্পেস-এক্স-এর। কিন্তু সেই রকেটের পরীক্ষা সফল হলো না। তবে স্পেস-এক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এলোন মাস্ক টুইট করে জানিয়েছেন, পরীক্ষা সফল। তবে নামার সময় গতিবেগ খুব বেশি ছিল। তা হয়েছিল ফুয়েল ট্যাঙ্কে লো প্রেসারের জন্য। প্রয়োজনীয় সব তথ্য টিম পেয়ে গেছে।

রকেটটি আট মাইল বা ১৩ কিলোমিটার উপরে উঠেছিল। গতবারের প্রয়াসের তুলনায় একশ গুণ বেশি উচ্চতায় পৌঁছতে পেরেছে স্পেস-এক্সের রকেট। গত মঙ্গলবার টেক্সাসে রকেটটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ শেষ সময়ে বন্ধ রাখা হয়। এই রকেটের উৎক্ষেপণ নিয়ে যথেষ্ট কৌতূহল ছিল। সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে রকেটটি বানানো হয়েছিল। সেটা ছিল ১৬০ ফুট লম্বা। তাতে র‌্যাপ্টর ইঞ্জিন ছিল। ল্যান্ডিং প্যাডে ছড়িয়ে আছে তার টুকরোগুলো। আগুন লাগার পর বিস্ফোরণ হয় এবং রকেট টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ে।

অ্যামাজনের সিইও ও ব্লু অরিজিন রকেট কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস এই উৎক্ষেপণের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, যাঁরা বিষয়টি জানেন, তাঁরা বুঝবেন, এই পরীক্ষার পিছনে কর্মীরা কতটা খেটেছেন। তাঁরা প্রশংসনীয় কাজ করেছেন।

গত মাসেই স্পেস-এক্স নাসার জন্য একটি মহাকাশকেন্দ্র স্থাপন করেছে। তাছাড়া ফ্লোরিডার মহাকাশকেন্দ্র থেকে তাদের মানুষসহ দ্বিতীয় ফ্লাইটও ছেড়েছে। এবার তাদের লক্ষ্য মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠানো। সে জন্য ৩৯৪ ফুটের রকেট স্ট্যান্ড তৈরি করেছে তারা। মাস্ক জানিয়েছেন, ছয় বছরের মধ্যে মঙ্গলে মানুষ নামবে। যদি ভাগ্য প্রসন্ন থাকে তা হলে চার বছরের মধ্যেই নামবে।
সূত্র: ডয়চে ভেলে বাংলা।

আইএনবি/বিভূঁইয়া