স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে হারপিক পানে শিক্ষার্থী আত্মহত্যা

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দায় স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে নুরুন্নাহার (১৫) নামে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে হেরে যায় ওই কিশোরী।

বুধবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে। নুরুন্নাহার উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের কাঁশোপাড়া গ্রামের সামছুর রহমানের মেয়ে ও কাঁশোপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

স্থানীয়রা জানান, কাঁশোপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা মকলেছুর রহমান প্রেমের ফাঁদে ফেলে নুরুন্নাহারকে গোপনে বিয়ের করেন। কিন্তু ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ায় গোপন বিয়ের কাবিনানামা করা হয়নি। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন মকলেছুর রহমান।

নুরুন্নাহার স্বামীর স্বীকৃতিসহ বাড়িতে তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকলে বিভিন্ন অজুহাতে মকলেছুর রহমান তা এড়িয়ে যান। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে। একপর্যায়ে গোপন বিয়ের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন মকলেছুর। এ কারণে গত ৬ ডিসেম্বর সকালে মোবাইলফোনে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এর কিছুক্ষণ পরে হারপিক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে নুরুন্নাহার। তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নুরুন্নাহারের ভাই আব্দুল মালেক জানান, রামেক হাসপাতালে নেওয়ার পর গত ১০ ডিসেম্বর নুরুন্নাহারের অপারেশন করা হয়। এরপর লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাকে। এ অবস্থায় বুধবার ভোর ৫টার দিকে মারা যায় বোন নুরুন্নাহার।

এই ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন কথিত স্বামী মকলেছুর রহমান। তার পরিবারের লোকজনও বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। মকলেছুরের মা মাকসুদা বিবি বলেন, ‘ছেলে মকলেছুর প্রেম করে নুরুন্নাহারকে গোপনে বিয়ে করেছেন গ্রামবাসীর মুখে এমন কথা শুনেছি। এর বেশি আর কিছুই আমি জানি না।’

মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান জানান, ঘটনায় ভিকটিমের বাবা সামছুর রহমান বাদি হয়ে মকলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচণার একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।

আইএনবি/বিভূঁইয়া