রাতে ঘুমানোর পর সকালে মিলল বাবা-ছেলের ঝুলন্ত মরদেহ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনা পৌরসভার নাগড়া এলাকা থেকে বাবা আবদুল কাইয়ুম (৩২) ও দুই বছরের ছেলে আহনাব শাকিলের লাশ আজ বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার করেছে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ।

 

মৃত আবদুল কাইয়ুম কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার খামার গ্রামের আক্কাস সরদারের ছেলে। তিনি নেত্রকোনায় ঔষধ প্রশাসনে চাকরি করতেন। নাগড়ায় ভাড়া বাসায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন তিনি।

মৃতের স্ত্রী সালমা আক্তার (২৬) জানান, নেত্রকোনা পৌরসভার নাগড়া এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার  হোসেন স্মৃতি সড়কের রুহুল আমীনদের বাসার চতুর্থ তলায় গত প্রায় সাত বছর ধরে বসবাস তাদের। প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল বুধবার রাতের খাবার খেয়ে রাত ১টার দিকে তারা এক রুমে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোর ৫টায় উঠে পাশের রুমে স্বামী ও সন্তানকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তিনি। কী করবেন বুঝে উঠতে না পেরে তিনি ফাঁসির দড়ি কেঁচি দিয়ে কেটে দেন। এতে স্বামী ও সন্তান মেঝেতে পড়ে যায়, তিনি বুঝতে পারেন তারা মারা গেছেন। সকালে বাসার দরজা খুলে বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানান। এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পুলিশ এই মর্মান্তিক ঘটনার কারণ জানতে পারেনি।

নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে সন্তানকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে পরে আবদুল কাইয়ুম নিজেও আত্মহত্যা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য দুজনের লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

 

আইএনবি/বিভূঁইয়া