আইএনবি ডেস্ক:রাজশাহীর তানোর উপজেলা সদরে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিন ও ‘মনোনয়নবঞ্চিত’ সুলতানুল ইসলাম তারেকের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, শরীফ উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সন্ধ্যায় উপজেলা সদরে মশাল মিছিল বের করেন সুলতানুল ইসলাম তারেকের অনুসারীরা। এ সময় শরীফ উদ্দিনের অনুসারীরা তাদের ধাওয়া করেন এবং ইট-পাটকেল ছুড়েন। এ সময় উভয়পক্ষের অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সুলতানুল ইসলাম তারেক বলেন, ‘তারা দল করেন, আমরাও দল করি। প্রার্থী পছন্দ না হলে সারাদেশেই বিক্ষোভ হচ্ছে, আমাদের এখানেও হচ্ছে। আমার অনুসারীরাও সন্ধ্যায় প্রার্থী বদলের দাবিতে মশাল মিছিল বের করেন। এতে শরীফ উদ্দিনের সাহেবের অনুসারীরা হামলা করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘শরীফ সাহেব তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিজানকে নির্দেশ দিয়েছেন, এলাকায় যেন কোনো বিক্ষোভ না হয়। তাই মিজানের লোকজন এ হামলা করেছেন। আমরা এ ব্যাপারে অবশ্যই থানায় অভিযোগ দায়ের করব।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, তার নেতাকর্মীদের বহনকারী অন্তত ১৮টি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়েছে। এসব অটোরিকশায় চড়ে বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা উপজেলা সদরে গিয়েছিলেন। গাড়িগুলো ভাঙচুরের পর চাবি নিয়ে চলে যাওয়া হয়েছে বলেও জানান সুলতানুল ইসলাম তারেক।
এ বিষয়ে নিয়ে কথা বলতে শরীফ উদ্দিনের অনুসারী তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
তানোর থানার ওসি আফজাল হোসেনকেও মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মীর্জা মো. আব্দুস সালাম বলেন, এখন যে কেউ মিছিল-মিটিং করতেই পারেন। মিছিল করা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ হলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আইএনবি/বিভূঁইয়া