ভারত গুলি করে অস্ত্র-বোঝাই পাকিস্তানি ড্রোন নামাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লাদাখে ২০ সেনা নিহতের ঘটনায় চীনের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে কাশ্মীরেও গোলমেলে অবস্থায় পড়েছে ভারত। চীন সীমান্তের নাজুক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কাশ্মীরে ভারতকে বিপাকে ফেলতে চেষ্টা করছে পাকিস্তান। এমনটাই অভিযোগ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ)।

শনিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় একটি পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামানোর দাবি করেছে বিএসএফ। ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তে ওই ড্রোনটিকে গুলি করে নামানো হয় বলে জানা গিয়েছে। গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দশ্যেই ড্রোনটি ভারতীয় আকাশসীমায় ঢুকেছিল বলে সূত্রের খবর।

কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার হীরানগর তালুকে রাঠুয়া গ্রামে পাকিস্তানি ড্রোনটিকে গুলি করে নামায় বিএসএফ-এর ফরওয়ার্ড পোস্ট। বিএসএফ-এর ১৯ ব্যাটেলিয়েনের টহল দল প্রথম হীরানগর সেক্টরের রাঠুয়া গ্রামের ওপর ড্রোনটিকে উড়তে দেখে।

ভারতের দাবি, পাকিস্তানি মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর জন্য আকাশ থেকে অস্ত্রশস্ত্র ফেলার জন্য এবং গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ড্রোনটি ভারতে প্রবেশ করে থাকতে পারে। ড্রোনটিকে গুলি করে মাটিতে নামানোর পর তার মধ্যে থেকে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।

ওই পাকিস্তানি ড্রোনের ভেতর থেকে একটি এম-৪ আমেরিকায় তৈরি রাইফেল, ২টি ম্যাগাজিন, ৬০ রাউন্ড বুলেট এবং সাতটি গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে। শনিবার ভোর ৫.১০ মিনিটে ড্রোনটিকে গুলি করে নামানো হয়। সাব-ইন্সপেক্টর দেবেন্দ্র সিং ড্রোনটিকে নামাতে আট রাউন্ড গুলি চালান। পানসারের বর্ডার আউটপোস্ট এর কাছে ড্রোনটিকে নীচে নামানো হয়।

ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ২৫০ মিটার ভারতের ভেতরে নামানো হয় ড্রোনটিকে। ড্রোনের প্লেলোডে আলি ভাই নামে একজনের নাম পাওয়া গেছে। এই আলি ভাইয়ের জন্যই অস্ত্রশস্ত্র পাঠানো হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। কে এই আলি ভাই, তার খোঁজ চলছে। আট ফুট চওড়া ড্রোনটিকে সীমান্তের ওপার থেকে পাকিস্তানি ঘাঁটি নিয়ন্ত্রণ করছিল বলে মনে করছে বিএসএফ।
সূত্র- ইন্ডিয়া টাইমস।

আইএনবি/বি.ভূঁইয়া