পদ্মাপাড়ে ইলিশের হাট গুঁড়িয়ে দিলো প্রশাসন

মাদারীপুর প্রতিনিধি:পদ্মাপাড়ের ইলিশের হাট মাদারীপুর জেলার শিবচরের আবারো অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসন।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের কাজিরসূরা এলাকায় নিষিদ্ধ মৌসুমে গড়ে উঠা ইলিশের হাটে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় হাটের অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় হাট। এছাড়াও ৮০ হাজার মিটার জাল জব্দ এবং ৬০ কেজি ইলিশ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মামুন এর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে প্রথমবার ইলিশের হাট গুঁড়িয়ে দেয় উপজেলা প্রশাসন। এছাড়াও শিবচরের চরজানাজাত নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. হাবিবুল্লাহ নেতৃত্বে পদ্মা নদীতে টহল জোরদার করায় জেলেরা নদীতে নামতে পারছেনা।

শিবচর উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এক শ্রেণির অসাধু জেলেরা পদ্মায় ইলিশ শিকার করে। এবং পদ্মার পাড়েই এ মাছ বিক্রি করা হয়। মাছ বিক্রির জন্য পদ্মার পাড়ে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী হাটও। নদীতে অভিযানের পাশাপাশি শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেনাবাহিনী, পুলিশ, মৎস্য অফিসসহ যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় হাটের সব অস্থায়ী স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়। সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাছ বিক্রেতা ও ক্রেতারা দ্রুত সরে পড়েন।

মৎস্য অফিস সূত্র আরও জানিয়েছে, গত ১৩ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১১ দিনে পদ্মানদীতে ৩৭টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় ৬ লাখ ৭০ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। আটক করা হয় ৪০ জেলেকে। এদের মধ্যে ১৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ২০ জনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৬ জনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ করা হয় ১৩টি ট্রলার। উদ্ধার করা হয় ৩১০ কেজি ইলিশ।

শিবচরের চরজানাজাত নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অফিস, পু্লিশ এবং সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে অস্থায়ী ইলিশের হাটে অভিযান চালানো হয়েছে। হাটটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নদীতে নিয়মিত অভিযান চলমান আছে।’

আইএনবি/বিভূঁইয়া