তুর্কি বাহিনী অবশেষে আফগানিস্তান ছাড়ছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:বুধবার তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তান ছাড়তে শুরু করেছে ন্যাটো জোটের অন্যতম সদস্য তুরস্ক।

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেন, ‘আমাদের সেনা প্রত্যাহারের পরও আমরা সেখানকার বিমানবন্দরে নিরাপত্তার কাজটি চালিয়ে যেতে পারব। যদি শর্তাবলীতে সম্মত হয় এবং এই দিক থেকে কোনো চুক্তি হয়, তাহলে আমরা সেখানে এই পরিষেবা প্রদান অব্যাহত রাখব।’

তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ২০০২ সাল থেকে আফগানিস্তানে জাতিসংঘ ও ন্যাটো বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করেছে তুরস্ক। দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় আফগান জনগণের শান্তি, কল্যাণ ও স্থিতিশীলতার জন্য কাজ করে তুর্কি বাহিনী। নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সফলভাবে পালনের গৌরব নিয়ে তারা দেশে ফিরছে।

সেনা প্রত্যাহারে ৩৬ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন।

প্রসঙ্গত, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ও বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহার শুরু হলে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে তুরস্ক। তবে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তালেবান।

গত ১৫ আগস্ট তালেবান প্রায় বিনা বাধায় কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিলে আঙ্কারার ওই পরিকল্পনা ভেস্তে পড়ার উপক্রম হয়। এরপরও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, তালেবান সরকারের অধীনে কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব নিতে তুরস্ক প্রস্তুত রয়েছে। তবে তালেবান শুরু থেকেই বিষয়টি মেনে নেয়নি।

আইএনবি/বিভূঁইয়া