তীব্র স্রোতে ভেসে গেল দুটি ফেরি ও লঞ্চ

মাদারীপুর প্রতিনিধি: শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটের ২টি ফেরি ও ১টি লঞ্চ যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে প্রচণ্ড স্রোতে ভেসে গেছে। ফেরি ও লঞ্চ উদ্ধার তৎপরতা চলছে বলে সূত্র জানিয়েছে। শুক্রবার দুপুর থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে এ রুটের সকল ফেরি।

গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মায় ২০ সে.মি পানি বৃদ্ধি পেয়ে স্রোতের গতিবেগ তীব্র আকার ধারন করেছে। বিপদসীমা অতিক্রম করেছে পদ্মা নদীর পানি। ঘাট এলাকায় যানবাহনের সাড়ি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে পদ্মায় দ্বিতীয় দফায় আবারও পানি বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ সে.মি. পানি বৃদ্ধি পেয়ে স্রোতের গতিবেগ তীব্র আকার ধারন করেছে। এদিন বিপদসীমা ছুঁয়েছে পানি। সকালে শিমুলিয়া ঘাট থেকে রো রো ফেরি শাহ্ মখদুম ও কেটাইপ ফেরি কেমিলিয়া যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে রওনা দিলে মূল পদ্মায় এসে তীব্র স্রোতের তোড়ে বিপত্তিতে পড়ে। কোনো মতে ফেরি ২টি বিকল্প চ্যানেলের মুখে এসে স্রোতের তোড়ে পড়ে। ডুবোচরের কারণে সরু হয়ে পড়া বিকল্প চ্যানেলের মুখে ফেরি ২টি না ঢুকতে পেরে পেছনের দিক যেতে থাকে। রো রো ফেরিটি স্রোতের তোড়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ২টি আইটি জাহাজ পাঠিয়ে ফেরিটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। কেটাইপ ফেরি কেমিলিয়াও প্রায় ৩ কিলোমিটার ভাসিয়ে নিয়ে যায় স্রোত। আইটি জাহাজ দিয়ে এই ফেরিটিও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। উভয় ফেরিতে যানবাহন ও যাত্রী রয়েছে।

এদিকে একই ঘাট থেকে প্রায় ২০০ যাত্রী নিয়ে এমএল শ্রেষ্ঠ ২ লঞ্চটির পাখা ভেঙে প্রায় ৭ কিলোমিটার ভাটিতে ভেসে যায়। খবর পেয়ে মালিক পক্ষ আরো ২টি লঞ্চ নিয়ে লঞ্চটি থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করে। তবে এখনো লঞ্চ উদ্ধার হয়নি বলে বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়।

বিআইডব্লিউটিসির মেরিন কর্মকর্তা আহমদ আলী বলেন, পদ্মা নদীতে বর্তমানে প্রচণ্ড স্রোত। স্রোতের তোড়ে ফেরি ২টি বিকল্প চ্যানেলের মুখে না ঢুকতে পেওে ভেসে গেছে। ফেরি ২টি উদ্ধারে আইটি জাহাজ কাজ করছে। উদ্ধার তৎপরতা কঠিন হচ্ছে।

আইএনবি/বি.ভূঁইয়া