ছুটি নয়, কঠোর লকডাউনের প্রস্তাব

আইএনবি ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে নতুন করে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের প্রস্তাব দিয়েছে। একই সঙ্গে বেশি পরীক্ষা, কন্ট্রাক্ট ট্রেসিংসহ ১২ দফা সুপারিশ করেছে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কমিটি।

সরকারের কাছে কমিটির সদস্যরা এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছেন। যা বর্তমানে যাচাই-বাছাই চলছে। শিগগিরই এটা বাস্তবায়নে যাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

প্রস্তাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে দেশের বিভিন্ন এলাকাকে রেড, গ্রিন ও ইয়েলো জোনে ভাগের কথা বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুন) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘রিসার্জেন্ট বাংলাদেশ: রোডম্যাপ টু রিকভারি’ শিরোনামের এই সংলাপে উন্নয়ন গবেষক আহসান এইচ মনসুর, এমসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, ডিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম খান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, সাবেক মুখ্য সচিব আব্দুল করিম ও সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানসহ আরও কয়েকজন অংশগ্রহণ করেন। শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহও আলোচনায় অংশ নেন।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, সংলাপ, গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান (বিল্ড) এবং পলিসি এক্সচেঞ্জ এই সংলাপ আয়োজনে সহযোগিতা করে।

নতুন করে লকডাউনের প্রস্তাব করে এমসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির বলেন, নতুন করে ১৫ থেকে ২০ দিনের জন্য যদি একটা কঠোর লকডাউন দেয়া যায় তাহলে পরবর্তীতে আমাদের অর্থনীতি পূনরুদ্ধারে ততটাই উপকার হবে।

তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে সামনে এগিয়ে যেতে বড় ধরনের বিপদের সম্মুখীন না হতে চাইলে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে সাধারণ ছুটির মতো বিভ্রান্তিকর কোনো তথ্য না দিয়ে একেবারে কঠিন একটা লকডাউন দিতে হবে।

তারপর একটা পরিকল্পনা গ্রহণ করে সে অনুযায়ী ধাপে ধাপে সকল ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানসহ আমাদের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে হবে।

নিহাদ কবির বলেন, আমরা এটাকে শুধু অর্থনীতির চোখে দেখছি না। আমরা ব্যবসায়ী সম্প্রদায় প্রথম থেকেই বলে আসছি যে, সবার আগে আমাদের দেশের সকল নাগরিকের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় যারা আছেন তাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। এটা করার পর আমরা আমাদের ব্যবসার দিকে তাকাব।

এটা যদি আমরা করি তাহলে হয়ত ভবিষ্যতে আমরা বড় ধরনের বিপর্যয় এড়াতে পারব।

শ্রীলঙ্কায় দায়িত্ব পালনের সুবাদে সেখানকার পরিস্থিতি দেখার অভিজ্ঞতা থেকে সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহও।

তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কায় কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সরকারি-বেসরকারি খাত সমন্বিতভাবে কাজ করেছে। কিন্তু আমাদের দেশে বিশেষ করে সরকারি অধিদপ্তরগুলোর মধ্যেও সমন্বয় নেই।

উদাহরণ দিয়ে এই রাষ্ট্রদূত বলেন, গত ১১ এপ্রিল শ্রীলঙ্কা লকডাউন তুলে দেওয়ার পর দেশটির বাসগুলোতে ব্যাপকভাবে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়।

ব্যাপক সমন্বয়ের মাধ্যমে তারা এটা করেছে। এভাবে বাংলাদেশেও সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করলে সফল হবে বলে আমি আশাবাদী।

সিপিডির ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এর আগে আসলে লকডাউন দেয়া হয়নি, তা ছিল সাধারণ ছুটি। এখন নতুন করে লকডাউন দিতে হলে প্রান্তিক ও দরিদ্র মানুষের কাছে কীভাবে খাবার পৌঁছাবেন তার একটা পরিকল্পনা করে যাওয়া প্রয়োজন। আমার সংবাদ

আইএনবি/বি.ভূঁইয়া