কেরানীগঞ্জে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের সহকারীকে অপসারণের দাবি

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি: দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী লায়লা আক্তার তুলির অপসারণ দাবিতে রবিবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের সামনে সমিতির ব্যানারে শতাধিক দলিল লেখক মানববন্ধন করে এ দাবি জানান।

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে লায়লা আক্তার তুলিকে অপসারণ করা না হলে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন তারা। পরে তারা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সাব-রেজিষ্ট্রার বরাবর স্মারকলিপি দেন।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি হাজী মো. মহিউদ্দিন বলেন, অফিস সহকারী লায়লা আক্তার তুলি যোগদান করার পর অফিসকে হয়রানির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছেন। তিনি প্রতিদিন দলিল চেক করার নামে নানা অজুহাতে দলিল আটকিয়ে অর্থ দাবি করেন। তার দাবি মতো অর্থ দেওয়া না হলে দলিল লেখকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, নানাভাবে হয়রানি করেন। তার এরকম অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা অভিযোগ করেছিলাম। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামী ৫ বছরের জন্য তার বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়। কিন্তু এত কিছুতেও লায়লা আক্তার তুলি সংযত হননি।

দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, অফিস সহকারী লায়লা আক্তার তুলি একজন অদক্ষ কর্মচারী। দলিলের আর্টিকেল সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই। অফিসের দলিল লেখকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অসদাচরণ করেন নিয়মিত। তিনি অফিসের কাজকর্ম ফেলে রেখে ফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যস্ত থাকেন। দলিল আটকে টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে না চাইলে দলিল লেখকদের লাইসেন্স বাতিল করার হুমকি দেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে লায়লা আক্তার তুলির অপসারণ চাই আমরা। অন্যথায় কর্মবিরতিসহ বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে আমরা বাধ্য হব।

দলিল লেখকদের এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অফিস সহকারী লায়লা আক্তার তুলি বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। আপনি সাব-রেজিষ্ট্রারের সঙ্গে কথা বলুন।

আইএনবি/বিভূঁইয়া