ইথিওপিয়ায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : তাইগ্রের বিদ্রোহীদের আমহারা অঞ্চলের দুটি এলাকা দখলে নেওয়ার দাবি করার পর রাজধানী আদ্দিস আবাবার দিকে অগ্রসর হওয়ার শঙ্কায়  ইথিওপিয়ায় পুরো দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে রাজধানী রক্ষায় প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, এই জরুরি অবস্থা ছয় মাসের জন্য কার্যকর করেছে দেশটির সরকার। ফলে রাস্তাঘাটে সাধারণ মানুষের চলাচল ও পণ্য পরিবহন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। সামরিক বাহিনী যেসব এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সেসব এলাকায় কারফিউ জারি রয়েছে। ঘর থেকে বের হলেই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হচ্ছেন দেশটির নাগরিকরা। কথিত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কারো সম্পৃক্ততার সন্দেহ হলে সঙ্গে সঙ্গে আটক করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ইথিওপিয়ার সরকার বলছে, সন্ত্রাসী তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিটিএলএফ) গ্রুপের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব, আর এ কারণেই এই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। উত্তরাঞ্চলীয় তাইগ্রে অঞ্চলের বিদ্রোহীদের সঙ্গে গত এক বছর ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইথিওপিয়ার সরকারি বাহিনী। দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার এসব তথ্য জানিয়েছে।

 

এদিকে, দেশটির বিচারমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, ‘আমাদের সার্বভৌমত্ব ও একতা নিয়ে আমরা এক মহাবিপদের মধ্যে পড়েছি। আমরা সাধারণ বিচারিক মাধ্যমে পরিস্থিতি সামলাতে পারছি না।’ তিনি আরও বলেন, জরুরি অবস্থা কেউ ভঙ্গ করে যদি সন্ত্রাসীদের কোনো ধরনের আর্থিক, মানসিক বা অন্য কোনোভাবে সহায়তা করে তার জন্য তাকে তিন থেকে ১০ বছর কারাভোগ করতে হবে।

সম্প্রতি তাইগ্রের বিদ্রোহীরা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ আমহারা অঞ্চলের দেসি ও কোমবোলচা শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয় বলে জানা গেছে। তবে সরকারের দাবি সেনাবাহিনী এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে প্রধান শহর দুটিতে। এই শহর দুটি রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

 

আইএনবি/বিভূঁইয়া