কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় অস্থিত্ববীহিন সিঙ্গারডাবরীর হাট মহাবিদ্যালয়ের জমি ফেরত চেয়ে পুর্বের মালিক আদালতে মামলা দায়ের করছেন।

মামলার এজাহারে জানা যায়, রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম দেবত্তর মৌজার ইছার উদ্দিন সরকারের পুত্র মৃত আব্দুল জলিল ১৯৯৯ইং সনে তার পিতার জমিতে সিঙ্গাডাবরীর হাট এলাকায় সিঙ্গারডারীর হাট মহাবিদ্যালয় নামে কলেজ খোলেন । তখন থেকে ২০১৩ইং সন পর্যন্ত কিছু শিক্ষার্থী দিয়ে খুরিয়ে খুরিয়ে চলছিল। এবং বিভিন্ন দপ্তরে প্রতিষ্ঠানটি এমপিও করার জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।
২০১৩ সালে হঠাৎ তার স্টক জনিত মৃত হয়। তার মৃতুর পর থেকে শিক্ষার্থী ও সহযোগী শিক্ষকদের তদরকি না থাকায় প্রতিষ্টানটি ধীরে ধীরে বিলিন হয়ে যায়।
এক পর্যায়ে ঝড় তুফানে ঘরটি ভেঙ্গে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বিলিন হয়ে যায়। এর পরে প্রতিষ্ঠানিক কোন কার্যক্রম না থাকায় দীর্ঘ দিন জমিটি পরিত্যক্ত থাকায় পূর্বের মালিক এছার উদ্দিন ২০১৪ সালে জমিটি ফেরত চেয়ে আদালতের কাছে মামলা দায়ের করেন।
এ দিকে হঠাৎ তৈহিদুল নামের এক শিক্ষক ঐ প্রতিষ্ঠান সচল আছে মর্মে আদলতে কাছে কিছু কাগজ পত্র দাখিল করে জমি পূর্বের মালিকের কাছে হস্তান্তরে বাধা সৃষ্টি করেন।
পূর্বের মালিক এছার উদ্দিন তার অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের কাছে তদন্ত দাবী করেন। এ ঘটনায় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করলে সাংবাদিকরা সরে জমিনে গিয়ে ঐ জমিতে কোন প্রতিষ্টান দেখা পায়নি।
জমির মালিক ইছার উদ্দিন জানান জমিটি এখন ঘাস চাষ করা হচ্ছে এখানে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। আমাকে শুধু হয়রানি করার জন্য আদলতের কাছে কিছু কাগজ পত্র দাখিল করেছে। এবং কিছু শিক্ষার্থীর কাগজে দেখিয়েছে। এ বিষয়ে কথা হয় স্থানীয় তরুন যুব আঃ আজিজ এর সাথে তিনি বলেন এখানে কোন প্রতিষ্ঠান নেই। তারা যা দাবী করেছে তা মিথ্যা। মৃত আব্দুল জলিলের ছোট ভাই আব্দুর রহমান বলেন আমার ভাইয়ের মৃত পর থেকেই এখানে কোন প্রতিষ্ঠান নেই।
স্থানীয় মতিয়ার (৫১), বিরেন্দ্র নাথ (৬৫), ইয়াকুব আলী (৫৫) বলেন গত ৫/৬ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠান বিলিন হয়ে গেছে। এখানে এরকম কোন প্রতিষ্টান নেই ।যদি কেউ দাবী করে তা মিথ্যা।
কথা হয় শিক্ষার্থী শরিফুল (২১), হানিফ (১৯) এর সাথে। তারা বলেন আমরা রাজারহাট কারিগরি বানিজিক কলেজের নিয়মিত ছাত্র অথচ তারা আমাদের কাগজ পত্র গোপনে সংগ্রহ করে এই কলেজের শিক্ষার্থী হিসাবে আদালতে দাখিল করেছেন। আমারা আদলতে স্বশরীরে গিয়ে জবান বন্দি দিয়েছি।
আমরা সিঙ্গারডাবরীর হাট মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র নই এবং শিক্ষা প্রতিষ্টান নেই। এ বিষয় জানতে শিক্ষক তৈহিদুলের সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
আইএনবি/এম. আ/বিভূঁইয়া