আইএনবি ডেস্ক: রাজধানীসহ সারা দেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগসহ আরো কিছু দলের নেতাদের পাশাপাশি সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দমন ও হয়রানির ইতিহাস নতুন নয়। গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পরিবর্তনের পরও এই প্রবণতা থেমে নেই। একই ধারায় নেতাদের পাশাপাশি সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পেন্ডিং মামলায় সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের মামলায় আসামি করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স শাখার উপ-কমিশনার মো. তালেবুর রহমান বলেন, সাধারণ কেউ যদি হয়রানি বা হুমকির শিকার হন, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ করতে পারেন। এছাড়া ডিএমপি সদর দপ্তরে তিনি অভিযোগও করতে পারেন। তার অভিযোগ অনুযায়ী পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
পুলিশ সদর দপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সারা দেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের মিছিল-সমাবেশ-ককটেলবাজি করলেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অতীতেও এ ধরনের গ্রেপ্তার কার্যক্রম চলেছে। বিশেষ করে, বিগত আওয়ামী লীগের সময় সারা দেশে বিএনপি-জামায়াতের মিছিল সমাবেশ করলেই গ্রেপ্তার করা হতো। এমনকি বাড়িঘর ও তাদের ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রকাশ্যে। ঐ সময় পুলিশ বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করতে পারলে তার বিভাগীয় পদোন্নতি ও ভালো জায়গায় পোস্টিং দেওয়া হতো। এসব কার্যক্রমের মধ্যেই পুলিশ সাধারণ মানুষ ও অন্যান্য দলীয় কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তার করার ঘটনা ছিল হাজার হাজার।
৫ আগস্ট-পরবর্তী পুলিশের মধ্যে একই ধারা অব্যাহত রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের অভিযোগ। কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ বাদে অন্যান্য দলেরও কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যদিও অনেকের নাম প্রকাশ পায়নি, তাদের ভয়, উদ্বেগ এবং নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি স্পষ্ট। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ নতুন উদ্বেগ তৈরি করছে। সাধারণ মানুষও সেভাবে নিরাপদ বোধ করছে না।
এক্ষেত্রে রাজনৈতিক স্বচ্ছতার দাবি আগের থেকে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
আইএনবি/বিভূঁইয়া