চাঁদপুর প্রতিনিধি: ইলিশের ভরা মৌসুম চলছে। অক্টোবর পর্যন্ত থাকবে এ মৌসুম। দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আসছে বড় বড় সাইজের ইলিশ। একই সঙ্গে আড়তগুলোতে বেড়েছে ক্রেতার সংখ্যা। তবে জন্মাষ্টমীর কারণে ইলিশের দাম একটু বেশি। কারণ বন্ধের দিন হওয়ার কারণে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গাড়ি নিয়ে ইলিশ কিনতে এসেছেন শত শত মানুষ। বাজার তদারকি না থাকায় ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছেমতো ইলিশের দাম নির্ধারণ করছেন।
বুধবার দুপুরে চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সামনে রেল স্টেশনের পাশে দেখা গেল বহু গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়েছে। নারী-পুরুষ অনেকেই শুধু চাঁদপুরের ইলিশ নিজে দেখে পছন্দ করে কেনার জন্য এসেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ মাছঘাটে প্রায় ৫০টিরও অধিক মৎস্য আড়ত আছে। এছাড়া ইলিশের ভরা মৌসুম হওয়ার কারণে খুচরা বিক্রেতা আছে আরও কমপক্ষে ৫০ জন। অনলাইনেও অনেকে ইলিশ বিক্রি করেন। তবে বেশ কয়েক জন খুচরা ইলিশ বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে দামের বেশ তারতম্য পাওয়া গেছে। একই ইলিশ প্রতি কেজি ২০০-৩০০ টাকা কম-বেশি দরে বিক্রি করছেন। জেলা সদরের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার তদারকি অভিযান থাকলেও মাছঘাটে কোনো অভিযান নেই। এখানকার ব্যবসায়ীরাই তাদের মাছের দাম নির্ধারণ করেন।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক হাজি শবে বরাত বলেন, চাঁদপুরে সাগরের ইলিশ আসে না। হাতিয়া, রামগতি ও আলেকজেন্ডার থেকে ইলিশ আসে। সাইজ অনুসারে দাম কম বেশি হয়। প্রতিদিনই ইলিশের দাম ওঠানামা করে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নুর হোসেন জানান, দাম বেশি রাখার ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত তদারকি অভিযান হয়নি। তবে শিগগিরই করা হবে।
আইএনবি/বিভূঁইয়া