আইএনবি ডেস্ক: ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণে ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২দিন মৎস্য আহরণের নিষিদ্ধ সময় চলমান রয়েছে। এদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিভিন্ন স্থানে মা-ইলিশ ধরায় ৩৭ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে জব্দ করা হয়েছে মাছ ধরা জাল ও নৌকা।
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে মা-ইলিশ ধরায় ৩৫ জেলেকে আটক করেছে নৌপুলিশ। একই সঙ্গে মাছ ধরার সাতটি জেলে নৌকা জব্দ করা হয়। সোমবার রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর নৌথানার ওসি মো. কামরুজ্জামান। আর জব্দ নৌকা নৌথানা হেফাজতে রয়েছে।
নলছিটিতে মা-ইলিশ শিকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার সুগন্ধা নদীসংলগ্ন চরবহরমপুর থেকে জেলা মো. শুভো (২৩) ও লিটন হাওলাদারকে (২৭) আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। জব্দ জাল পরে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, উপজেলা মত্স্য কর্মকর্তা মনি কুমার মিস্ত্রি।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। মৎস্য সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী তাদের দুজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম উপজেলায় মৎস্য অফিস অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পেকুয়া জাল জব্দ করেছে। সোমবার বিকালে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. রাশিদুল হকের নেতৃত্বে সাঙ্গু থেকে বঙ্গোপসাগরের মোহনা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সিজি স্টেশন সাংগু গহিরা কন্টিজেন্ট কমান্ডার মো. সাজু এবং বার আউলিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হালিম উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. রাশিদুল হক বলেন, সোমবার বিকালে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
আইএনবি/বিভূঁইয়া