নেত্রীর মুক্তিতে আলোয় ধাপিত হয় বাংলাদেশ : নিখিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেছেন, সামরিক জান্তা দ্বারা বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘ সময় নির্যাতিত হয়েছে। ওয়ান ইলেভেনের সময় যখন আমাদের প্রিয় নেত্রী বাংলারগণ মানুষের নেত্রী জনগণকে নিয়ে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। ঠিক তখনই নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নেত্রীকে তৎকালীন সেনা শাসক গ্রেপ্তার করে কারাগারে রাখে। বাংলাদেশের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ে। অন্ধকারের দিকে ধাবিত হয়। সেই সময় আওয়ামী পরিবারের নেতৃবৃন্দরা আপোসহীন আন্দোলনে নামেন। জনগণের পূর্নসমর্থন মুখে হার মানে সেনা শাসক, মুক্তিপান জনগণের নেত্রী। বাংলাদেশের মানুষ অন্ধকার থেকে আলোর ধাপিত হয়। আজকের বাংলাদেশই তার প্রমান। সেদিন নেত্রীর মুক্তি না হলে বাংলাদেশ আজ কোথায় থাকতো আল্লাহ ভালো জানেন।

বৃহস্পতিবার (১১জুন) দুপুরে মিরপুর শাহ আলী মাজারে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারামুক্তি দিবসে উপলক্ষ্যে যুবলীগ আয়োজিত দোয়া ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ষড়যন্ত্রে কবলিত হয়ে দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের এই দিনে জনগণের দূর্বার আন্দোলনের কারণে মুক্তি পান রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। উনার সততা, সাহস আর দূরদর্শি নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ সমুদ্র তলদেশ থেকে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্থাপনের মাধ্যমে সারা বিশ্বে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিশে^র বড় বড় দেশ যেখানে দিশেহারা, সেখানে তিনি সাহসিকতার সাথে বাংলাদেশের মানুষকে কিভাবে সুন্দর রাখা যায়, সেজন্য সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন চলেছেন।
তিনি আরও বলেন, আজকে নেত্রীর কারামুক্তি দিবসে আমাদের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এর নেতৃত্বে আমরা সারা বাংলাদেশের অসহায় মানুষের খাদ্য বিতরণ এবং নেত্রীর দীঘায়ু ও সুস্থ্যতা কামনা করে দোয়া কামনা করছি।

কেন্দ্রীয় যুবলীগের উদ্যোগে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগের ব্যবস্থাপনায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ব্যবস্থাপনায় রাজধানীর মিরপুর শাহ আলী মাজারে বাদ যোহর সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাউন্সিলর জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, সহ-সভাপতি ও কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক, মজিবুর রহমান বাবুল, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল,ঢাকা মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক সিদ্দিক বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা জালাল উদ্দিন, এ্যাড. গোলাম কিবরিয়া, আসাদুজ্জামান আজম, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম রাজু, আলামিনসহ ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিকেলে বাদ আছর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ব্যবস্থাপনায় হাইকোর্ট মাজার মসজিদে বাদ আসর বিশেষ দোয়া ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা। এছাড়া কেন্দ্রীয় যুবলীগের আহবানে সাড়া দিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা মহানগর ইউনিয়ন পৌরসভা পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

সেনা সমর্থিত ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেপ্তার হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযােগী সংগঠনের ক্রমাগত চাপ, আপসহীন মনোভাব ও অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস কারাভোগের পর সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।