নড়াইল প্রতিনিধি: ঘরজামাই থাকতে না চাওয়ায় নড়াইল সদর উপজেলার ফুলশ্বর গ্রামে আকাশ নামে এক যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
তিনি সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আলতাফ মোল্যার ছেলে আকাশ মোল্যা (২৩)।
আজ রবিবার নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভুক্তভোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় চার মাস আগে পার্শ্ববর্তী ফুলশ্বর গ্রামের লিকটন মোল্যার মেয়ে তাহমিনার সঙ্গে আকাশের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর তাকে নিজের বাড়িতে রেখে জমিজমার কাজসহ গৃহস্থালির যাবতীয় কাজ করিয়ে আসছিলেন। পরে আকাশ বিষয়টি বুঝতে পারলে স্ত্রী তহমিনাকে নিয়ে নিজেদের বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন। কিন্তু শ্বশুরের বাধার মুখে ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে শনিবার আকাশ স্ত্রীকে নিয়ে নিজ বাড়ি চলে আসতে চাইলে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বাধার মুখে পড়েন। তখন তারা আকাশকে আটকে হাত-পা বেঁধে বিলের মধ্য ফেলে নির্যাতন চালান। একপর্যায়ে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়লে সেখানে ফেলে রেখে চলে যান তারা। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে স্বজনরা নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আকাশের মা ময়না বেগম অভিযোগ করে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, শনিবার রাত ৯টার দিকে ওই বিলে পড়ে থাকার একপর্যায়ে এক পথচারী গোঙ্গানির শব্দ শুনে আমার ছেলেকে উদ্ধার করেন। ঘরজামাই থাকতে না চাওয়ায় আমার ছেলের হাত-পা বেঁধে বিলে ফেলে দিয়েছিল তার শ্বশুর।’
তবে এ বিষয়ে আকাশের শ্বশুরবাড়ির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আইএনবি/বিভূঁইয়া