জামালপুর প্রতিনিধি:সরকার গ্রামীন অর্থনীতি ও গ্রামীন মহিলাদের স্বাবলম্বি করার জন্য সারা দেশের ন্যায় জামালপুরে কৃষক সমবায় সমন্বয়ের ভিত্তিতে চাষাবাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এই প্রকল্পে কাকরোল চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো।
গ্রামীন মহিলারা কাকরোল চাষে ঝুঁকে পড়ায় গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে। পাশাপাশি প্রতিদিন গ্রামীন মহিলা উদ্যোক্তায় পরিনত হয়ে কাকরোল বিক্রি করে লাক্ষাধিক টাকা আয় করছে।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা কাকরোল চাষ সর্মৃদ্ধ এলাকা। এ উপজেলার সর্বত্র
কাকরোল চাষ হয়ে থাকে। এ ব্যপারে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: এমদাদুল হক কে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ প্রতিবেদক কে বলেন, গ্রামীন মহিলাদের স্বাবলম্বি করার জন্য লক্ষীরচর, রায়েরচর, টেবিরচর, তুলশীরচর, কাজিয়ারচর, চরগজারিয়া সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় কাকরোল চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো। গ্রামীন মহিলারা তা বাস্তাবয়ন করায় উদ্যোক্তায় পরিনত হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিদিন মহিলা লাক্ষাধিক টাকার কাকরোল বিক্রি
করে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছে। কথাহয় লক্ষীর চরের সেফালী বেগম(৩০) তুলশীরচরের রমিছা বেগম(২৫) এর সাথে তারা জানান, কাকরোল চাষ জনপ্রিয় করার জন্য কৃষি বিভাগ ব্যপক ভাবে সহায়তা করেছে। যার জন্যে কাকরোল চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরেজমিনে এ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে ফসলি জমিতে সারি সারি কাকরোল গাছের
সমারোহ। গাছে গাছে ঝুলছে অসংখ্য কাকরোল। সরকারের এ প্রকল্প কৃষি বিভাগ মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ব্যপক ভাবে বাস্তবায়ন করেছে। এ উপজেলার সর্বত্রই কাকরোল চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরেজমিনে মহাদান, ভাটারা, মেষ্টা, বালিজুড়ি, টিকাজানি, নাংলা, আদ্র, বাট্রাজোর সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে গ্রামীন মহিলারা কাকরোল খেতে পরিচর্যা করছে। কথা হয়, মেষ্টাগ্রামের আলেয়া বেগম(২৮) আদ্রাগ্রামের নাসিমা(২৫) এর সাথে তারা বলেন, কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় কাকরোল চাষ করে লাক্ষাধিক টাকা আয় করেছি। এ গ্রামের প্রতিদিন গ্রামীন মহিলা উদ্যোক্তায় পরিনত হয়ে স্বাবলম্বিতা অর্জন করেছে। ফলে সরকারের এ প্রকল্পের কারনে গ্রামীন মহিলারা কাকরোল চাষে স্বাবলম্বি হয়েছে।
আইএনবি/কে আর/ বিভূঁইয়া