জামালপুর প্রতিনিধি:সরকার গ্রামীন মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থান ও গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গা করার লক্ষ্যে একের পর এক প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এ প্রকল্পের আওতায় জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলায় নকশি কাথা শিল্প গড়ে উঠেছে। নকশি কাথা শিল্পের সাথে অসংখ্য গ্রামীন মহিলা জড়িত হওয়ায় আত্মকর্মসংস্থানের পথ খুঁজে পেয়েছেন। ফলে গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব
ফিরে এসেছে।
জানা যায়,জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা হলেও গ্রামীন মহিলারা পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার জন্য নকশি কাথা শিল্পে জড়িয়ে পড়েছে। নকশি কাথা শিল্প সর্মৃদ্ধ করার জন্য যুব উন্নয়নের মাধ্যমে সরকার প্রশিক্ষন ও ঋন সুবিধা দিয়েছে। লক্ষীরচর, রায়ের চর, টেবিরচর, তুলশীরচর, কাজিয়ার চর, রানাগাছা, শ্রীপুর সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকার যুব মহিলারা যুবউন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষন ও স্বল্প সুদে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নকশি কাথা শিল্প গড়ে তুলে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করে ফেলেছেন। কথা হয় লক্ষীরচরের জমিলা(২৮) টেবিরচরের ফাতেমা(৩০) এর সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন। নকশি কাথার ব্যপক চাহিদা। কাথার ডিজাইন অনুযায়ী দাম নির্ধারিত হয়। তিনি আরো বলেন প্রায় ৩শতাধিক যুব মহিলা নকশি কাথা শিল্পের সাথে জড়িত রয়েছে।
সরকারের এ প্রকল্প মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ব্যপক ভাবে বাস্তাবায়িত হয়েছে। নকশি কাথা শিল্প গ্রাম গ্রামান্তরে ছড়িয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে ডাংধরা, পাররামপুর, হাতিবান্দা, বগাচর, বাট্রাজোর, চিকাজানি, নাংলা, আদ্রা, মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ, পোগলদিঘা, সাতপোয়া, মেষ্টা এলাকা ঘুরে নকশি কাথা শিল্পীর সাথে কথা হয় তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন,সরকার গ্রামীন মহিলাদের উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে নকশি কাথা শিল্প প্রকল্প হাতে নেয়। এ প্রকল্প যুব উন্নয়নের মাধ্যমে বাস্তাবয়ন হয়েছে। কথা হয়
নাসিমা(২৫) সালমা(২৮) এর সাথে তারা জানান, ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটে নকশি কাথার ব্যপক চাহিদা। ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা মূল্যের নকশি কাথা রয়েছে। এই নকশি কাথা গ্রামীন যুব মহিলাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে।
আইএনবি/কে আর/বিভূঁইয়া