৪৬,৭২৫ হাজার টাকা ফেরত পাচ্ছেন হাজীরা  

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

সরকারি ব্যবস্থাপনায় যারা চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন তারা খাবার ও প্যাকেজের খরচ কমানো বাবদ ৪৬ হাজার ৭২৫ টকাা ফেরত পাবেন। অনেকই এ টাকা উঠিয়েছেন। এখনও যারা এ টাকা তুলেননি তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়।

হজ শাখার সিনিয়র সহকারি সচিব মনিরুজ্জামান সই করা এই নির্দেশনায বলা হয়, ২০২৩ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যারা পবিত্র হজ করতে গিয়েছিলেন কিন্তু খাবার বাবাদ ২৫ হাজার টাকা  এবং হজ প্যাকেজের খরচ কমা বাবদ ১১ হাজার ৭২৫ টাকা মোট  ৪৬ হাজার ৭২৫ টকাা ফেরত নেননি তারা দ্রুত ধর্ম সচিবের বরাবার আবেদন করে টাকা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। নির্ধারিত চকে হাজী নাম, পিআইডি নম্বর, মোবাইল নস্বর, হিসারের শিরোনাম, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ব্যাংকের নাম ও শাখা এবং রাউটিং নম্বর দিয়ে আবেদন করতে বলা হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হজ প্যাকেজ করার সময় খাবারের খরচ বাবদ একটা অংশ ধরা হয়। পরবর্তীতে খাবার বাবদ যে টাকা খরচ হয় তা ওই টাকার সঙ্গে সমন্বয় করে সাশ্রয় হওয়া টাকা হাজীদের ফেরত দেওয়া হয়। প্রতি বছর এ টাকা ফেরত পেয়ে থাকেন। এবার খাবার টাকা সাশ্রয় হয়েছে ২৫ হাজার টাকা হাজীরা ফেরত পাবেন।

অন্যদিকে গত ২২ মার্চ সৌদি সরকার ২০২৩ সালের হজের জন্য ঘোষিত প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত মিনার তাবুর খরচ চারটি (এ, বি, সি, ডি) ক্যাটাগরির সেবার মূল্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য ৪১৩ রিয়াল কমানো হয়। ৪১৩ সৌদি রিয়াল সমপরিমাণ (২৮.৩৯ টাকা ধরে) ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমানো হয়।

ওই সময় ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়,  সরকারিভাবে নিবন্ধন করা হাজীরা তাদের টাকা ঢাকা অফিস থেকে খাবারের মূল্য ফেরত বাবদ একসঙ্গে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে একজন হজযাত্রী খাবারের মূল্য ২৫ হাজারের সঙ্গে সৌদি সরকারের কমানো টাকা ১১ হাজার ৭২৫ সহ মোট ৪৬ হাজার ৭২৫ টাকা ফেরত পাবেন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনা যারা গেছেন তাদের টাকা তার নিবন্ধন করানো হজ এজেন্সি ফেরত দিয়েছেন।

উল্লেখ, চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রীর সৌদিতে যাওয়ার জন্য চুক্তি হয়। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার বাকি ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চলতি বছর হজের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ৯ বার নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ করা যায়নি। শেষ পযন্ত ১ লাখ ২২ হাজার ৫০০ হাজী হজে যায়। বাকি প্রায় ৫ হাজার কোটা সৌদি সরকারকে ফেরত দেয় বাংলাদেশ।

এনএ/জেডএইচ