১৫ শর্তে চলবে গণপরিবহন:ওবায়দুল কাদের

আইএনবি নিউজ: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের করোনা সংক্রমণরোধে মালিক ও শ্রমিকদের ১৫ নির্দেশনা মেনে গণপরিবহন চালানোর কথা বলেছেন ।

শুক্রবার (২৮ মে) রাজধানীর বনানীর সড়ক পরিবহন ভবনে গণপরিবহন চালু করার বিষয় বিআরটিসির কর্মকর্তা এবং পরিবহন মালিক ও শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে মিটিংয়ের সময় ভিডিও কনফারেন্স যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

সোমবার (৩১ মে) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার সরকার করোনারোধ মার্চের প্রথম সপ্তাহে সাধারণ ছুটির পাশাপাশি গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বাড়লেও সার্বিক দিক বিবেচনা করে লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, জনগণের জীবনের পাশাপাশি জীবিকার চাকা সচল রাখতে বিশেষজ্ঞ, টেকনিক্যাল কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সাধারণ ছুটি না বাড়ানো ও গণপরিবহন শর্তসাপেক্ষে চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, চলমান সংকট ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্ত নেবেন। আমাদের সামান্যতম ভুলে বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে।

পরিবহন শ্রমিক-মালিকদের তিনি বলেন, আপনারা আজ আলোচনার মাধ্যমে শর্ত সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত ঠিক করুন কিভাবে যাত্রী সেবা দেয়া যায়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা যায়। গণপরিবহন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এজন্য আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

যাত্রী, চালক, শ্রমিক, পরিবহন সংশ্লিষ্ট অনেকেই থাকে এরমধ্যে একজন করোনা রোগী থাকলে আক্রান্ত করতে পারে। তাই ঢালাওভাবে নয়, নিমজ্জিত উপায়ে সীমিত পরিসরে কিভাবে যাত্রী সেবা দেয়া যায় তা ঠিক করতে হবে।

করোনায় মৃত্যুর মিছিলের পাশাপাশি যেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল দেশবাসী না দেখে। দুর্ঘটনা যেন না ঘটে, সে জন্য সতর্ক হয়ে গাড়ি চালানোর আহ্বান জানান তিনি।

যে ১৫ নির্দেশনা দিয়েছেন সেতুমন্ত্রী-

১. স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব, শারীরিক দূরত্ব কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে।

২. বাস টার্মিনালে কখনোই ভিড় করা যাবে না।

৩. তিন ফুট দূরত্বে লাইনে দাঁড়িয়ে যাত্রীরা উঠবেন।

৪. স্টেশনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে।

৫. বাসে কোনো যাত্রী দাঁড়িয়ে যেতে পারবে না।

৬. বাসের সব সিটে যাত্রী নেয়া যাবে না।

৭. ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ সিট খালি রেখে যেতে হবে।

৮. যাত্রীর পরিবারের সদস্য হলে পাশের সিটে বসানো যাবে, অন্যথায় নয়।

৯. যাত্রী, বাস কন্ডাক্টর, চালক সবার মাস্ক বাধ্যতামূলক।

১০. স্টেশন থেকে গাড়ি বাধ্যতামূলকভাবে সব দিকে ভালোভাবে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে।

১১. যাত্রীদের ওঠা নামার সময় শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

১২. চালক এবং কন্ডাক্টরদের ডিউটি একটানা দেয়া যাবে না। তাদের নির্দিষ্ট দিন বা পরের দিন রেস্ট দিতে হবে।

১৩. লংরুটে রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চা বিরতি থেকে বিরত থাকলে ভালো।

১৪. করোনাভাইরাসের সংক্রামণ কোথা থেকে হবে তা কেউ বলতে পারে না। তাই যাত্রীদের মালামাল ও হাত ব্যাগে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে।

১৫. ভাড়া নির্ধারণের জন্য বিআরটিএর যে কমিটি রয়েছে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে যুক্তিসঙ্গত ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে।

আইএনবি/বি.ভূঁইয়া