সৈয়দ আশরাফের কবরে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধা নিবেদন

অাইএনবি নিউজ : আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন মরহুমের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।
আজ শুক্রবার সকাল ৮ টায় প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সৈয়দ আশরাফের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

পরে ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে নিয়ে দলের পক্ষে সৈয়দ আশরাফের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এসময়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামছুন নাহার চাপা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদু নাহার লাইলী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওছার ও মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম রাজনীতিবিদদের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। তার ত্যাগ-তিতিক্ষা জাতির কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের একজন বিরল রাজনীতিবিদ সৈয়দ আশরাফ। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী সৈয়দ নজরুল ইসলামের এই সুযোগ্য পুত্র আমাদের পার্টির পর পর দুই বার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের জন্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।’

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, আওয়ামী যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সৈয়দ আশরাফ স্মৃতি পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এ সময় সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন তার বোন কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর। সৈয়দ আশরাফ ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন।

আইএনবি /এনএম