শোকাহত মাসে বাকপ্রতিবন্ধী পিতার শোক

বিশেষ প্রতিনিধি: ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন কাউন্দিয়া ইউনিয়নের বুড়িরটেক গ্রামের মাদক ব্যাবসায়ী জলিল ও লাইলীর করাল গ্রাসে কেড়ে নিলো ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী রত্নার তাজা প্রাণ ।

গত ১৫ ই আগষ্ট বিকেলে একই এলাকার দোকানদার জলিল ও তার স্ত্রী লায়লি তাদের দোকানে কথা বলছিলো। বিদ্যুৎ না থাকায় অন্য অনেকের মতো রত্নাও উপস্থিত ছিলো দোকানের পাশে। জলিল ও তার স্ত্রী কোনো একটি কথা বলে যা অন্য কয়েকজনও শোনে। পরবর্তীতে কথাটি কোনভাবে পাঁচকান হয়। জলিল ও তার স্ত্রী সন্দেহ করে কথাটি রত্নার মাধ্যমে ছড়িয়েছে। এরপর রত্নার বাবা বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় ১৭ই আগষ্ট রত্নার ফুপুর কাছে রত্নার ব্যাপারে নালিশ দেয়। রত্নার ফুপু তখন হাসপাতালে যাচ্ছিলো। হাসপাতাল থেকে ফিরে এর একটি সুরাহা করবে বলে জানায়। এর প্রায় আধা ঘন্টা পরে হঠাৎ রত্নাকে দেখতে পেয়ে রত্নার ওপর চড়াও হয় জলিলের স্ত্রী। তাকে বাড়ির সামনে থেকে চুলের মুঠি ধরে টেনে হিচড়ে দোকানের সামনে এনে জলিল ও তার স্ত্রী লায়লি চড় থাপ্পড় ও ঘুষি মারতে থাকে। রত্নাকে মারতে দেখে ছুটে আসে রত্নার সমবয়সী ফুফাতো বোন। তাকেও বেধড়ক মারতে থাকে তারা। মারতে মারতে একসময় তাদের রাস্তায় ফেলে দেয় জলিল ও তার স্ত্রী। রত্নার বাড়িতে কেউ না থাকায় তাদের মারতে দেখে একসময় ছুটে আসে রত্নার অপর এক ফুপু। তাকেও তারা বেধড়কভাবে মারে।

মারার পরও তাদের উচ্চ গলা থেকে থামেনি, জলিলের দোকান ও বাড়ি রত্নার বাড়ির একই গলিতে হওয়ায় রত্না বের হলেই তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করতো, “মারছি ভালো করছি কি করবি করিস, আরো বেশি মারা দরকার ছিলো”। এ ধরনের কথার কারনে রত্নার পরিবার এলকার মুরুব্বিদের কাছে বিচারের দাবি জানালে জলিল ও তার স্ত্রী প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার কথা শোনা যায়।

আইএনবি/বিভূঁইয়া