শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবসে যুবলীগের দোয়া ও খাবার বিতরণ কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবসে বিশেষ দোয়া ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। দিবসটিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে আখ্যায়িত করে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সংগঠনটি।
কর্মসূচির মধ্যে বৃহস্পতিবার বাদ জোহর রাজধানীর মিরপুর শাহ আলী মাজারে কেন্দ্রীয় যুবলীগের উদ্যোগে মিলাদ দোয়া ও দুঃস্থ অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ করা হবে। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় থাকবে ঢাকা উত্তর মহানগর যুবলীগ। বিকেলে হাইকোর্ট মাজার প্রাঙ্গণে বাদ আসর মিলাদ দোয়া ও খাবার বিতরণ করা হবে। এ আয়োজনের ব্যবস্থাপনায় থাকবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ।

এছাড়া সারাদেশে যুবলীগের জেলা উপজেলা সহ সকল ইউনিটকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করার আহ্বান জানিয়েছেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

জানতে চাইলে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ২০০৮ সালের ১১ জুন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের পূনর্যাত্রা শুরু হয়েছে এবং জনগণের ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠা হয়েছে ।
তিনি আরো বলেন, সেদিন নেত্রীর মুক্তি না হলে যুদ্ধাপরাধী বিচার হতো না, জঙ্গিবাদ নির্মূল হতো না, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতো না, যার কারণে বাঙালি জাতির জীবনে এবং রাজনৈতিক আজকের দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন।

২০০৮ সালের ১১ জুন সামরিক শাসনের যাঁতাকল আর ঘূণে ধরা গণতন্ত্রের বেড়াজাল ভেদ করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক জীবনে উকি দেয় নতুন সূর্য। দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস কারাভোগের পর সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান মানবতায় বিশ্বজয়ী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার এ মুক্তির মধ্য দিয়ে ঐদিন রাজনৈতিকভাবে পথ হারানো বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পুনর্যাত্রা শুরু হয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সেনা সমর্থিত ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেপ্তার হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় কারাগারের অভ্যন্তরে শেখ হাসিনা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন বিদেশে চিকিৎসার জন্য তাকে মুক্তি দেয়ার দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ক্রমাগত চাপ, আপসহীন মনোভাব ও অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।