শরীয়তপুরে সাংবাদিক নেতাকে মাদকব্যবসায়ীর হুমকি

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুরের দৈনিক রুদ্রবার্তা’র সম্পাদক ও প্রকাশক শহীদুল ইসলাম পাইলটকে  অঙ্গহানি ও মানহানি করার হুমকি দিয়েছে তরিকুল্ ইসলাম নামে এক যুবক। স্থানীয় ভাবে সে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।

জানা যায়, গত ২৯ জানুয়ারি সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামে মজিদ কতোয়ালের ছেলে শিপন কতোয়াল ৫৮ নং তেতুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাকে ডেকে খারাপ আচারণ সহ ভয়ভীতি দেখায়। বিষয়টি বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন সাংবাদিকদের জানান। সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গিয়ে দৈনিক রুদ্রবার্তা সহ বেশ কিছু দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রচার হয়। ৩০ জানুয়ারি দৈনিক রুদ্রবার্তা অনলাইন পেজে শরীয়তপুর শিপন কতোয়ালের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। এই শিরোনামে প্রকাশ হয়। দৈনিক রুদ্রবার্তা প্রকাশিত খবর এর নিচে মন্তব্যের জায়গায় সম্পাদক ও প্রকাশক আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম পাইলটকে অঙ্গাহানির হুমকি ও মানহানিকর মন্তব্য করা হয়। অভিযুক্ত মন্তব্যকারি সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের আমিনবাগ গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে এসএম তরিকুল ইসলাম।

আলহাজ্ব শহীদুল ইসলাম পাইলট সংবাদ সংস্থা ইউএনবির, দৈনিক সমকাল পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি।

দৈনিক রুদ্রবার্তার পত্রিকার সম্পাদক বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে নিউজ করায় আমাকে অঙ্গাহানি ও প্রাণহানির ম্যাসেজ করে লিখেছেন। আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা ও মানহানি করাতে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দয়ের করেছি।

উল্যেখ গত ২৩ জুন২০১৯ এসএম তরিকুল ইসলামকে ৭পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ নগদ ইয়াবা বিক্রির ১৮ হাজার টাকা সহ পালং মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেন। এনিয়ে দৈনিক রুদ্রবার্তায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এনিয়ে পালং মডেল থানায় বাদি হয়ে দৈনিক রুদ্রবার্তার যুগ্ম সম্পাদক আনিছুর রহমান একটি মামলা দায়ের করেন।

৩০ জানুয়ারি বিকেল ৫ টায় এবিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আসামি সত্যিই একজন বখাটে। আমরা তাকে ধরার চেষ্টা করছি। আশা করি খুব শিগ্রই তাকে গ্রেফতার করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর বলেন, দেশে সন্ত্রাসি দ্বারা সাংবাদিকের অব্যাহত হুমকি ও হামলার ঘটনায় দেশের সাংবাদিকরা উদ্বিগ্ন। এভাবে চলতে পারেনা। তাই এখনই সন্ত্রাসিদের লাগাম টানুন। সরকারকে আহবান জানিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতেদর দ্রূত গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।