লায়ন মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খানের ৫১ তম শুভ জন্মদিন আজ

আইএনবি ডেস্ক :
বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের মহাসচিব, আইপি টিভি ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ উদযাপন জাতীয় কমিটির আহবায়ক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলন এর চেয়ারম্যান, বরেণ্য গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, লায়ন মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খাঁনের ৫১ তম শুভ জন্মদিন আজ (১৮ জুলাই) ।
তিনি ১৯৭১ সালের ১৮ জুলাই মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার ঠাকুর তলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি বরেণ্য শিক্ষাবিদ মরহুম আলহাজ্ব মাওলানা মকবুল আহমদ ও মরহুমা আলহাজ্বা মোমেনা বেগমের সুযোগ্য পুত্র ।

আতা উল্লাহ খান করোনা মহামারীর কিছুদিন পূর্বে ২০১৯ এর ৩ রা অক্টোবর থেকে ৬ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ১৪ দলের প্রতিনিধি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সঙ্গী হয়ে ৪ দিনের রাস্ট্রীয় সফরে ভারত সফর করেন।
এ সময় তিনি ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে নৈশভোজ এবং সৌজন্যে সাক্ষাৎ এ অংশগ্রহণ করেন ।
প্রসঙ্গত, বরেণ্য রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যম ও সংস্কৃতিজন লায়ন মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খাঁন দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে সাংবাদিকতা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে আসছেন।

তিনি বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা ও প্রচারনা কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার সাহসী বক্তব্য, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে ১৪ দলের প্রয়াত সমন্বয়ক মোঃ নাসিমের অত্যান্ত প্রিয়ভাজন ছিলেন।
তিনি ২০০৭ সালের ৭ জুলাই হতে ২০১১ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্ব প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনে কক্সবাজার ও সুন্দরবনকে বিজয়ী করতে দেশে ও বহির্বিশ্বে ব্যাপক প্রচারণা শুরু করেন । এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পুলিশ এর সহযোগিতায় তিনি কক্সবাজার এবং সুন্দরবনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হন। শেষদিন পর্যন্ত সুন্দরবন সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনের শীর্ষে ছিল।
তিনি ভেজাল, মাদক ও দূর্নীতি বিরোধী আন্দোলন এর একজন প্রতিকৃত । খাদ্যে ভেজাল, মাদক ও দূর্নীতি প্রতিরোধে সারা দেশে ব্যাপক প্রচার, সভা, সেমিনার এর মাধ্যমে আন্দোলন পরিচালনা করে আসছেন।
তিনি বাস্তুচ্যুত ১৪ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে ব্যাপক কর্মসুচী ও প্রচারনা চালিয়ে আসছেন। এছাড়া তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান।
তিনি ২০১২ সালে ঐতিহাসিক সোহরওয়ার্দী উদ্যানে ১৬ ডিসেম্বর হতে ১০ দিন ব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় বিজয় মঞ্চের সূচনা করেন। প্রতি বছর ১০দিন ব্যাপী জাতীয় বিজয় মঞ্চের কর্মসূচি ব্যাপকভাবে পালন হয়ে আসছে । তিনি মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় বিজয় মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও সদস্য সচিব। আতা উল্লাহ বিশ্বাস করেন সারা বিশ্বের প্রধান সমস্যা হচ্ছে উগ্রসাম্প্রদায়ীকতা, তাই তিনি দেশের সকল ধর্মের মানুষের সমন্বয়ে গঠিত নন কমিউন্যাল ফ্রেন্ডস সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। এ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তিনি দেশের আঞ্চলিক ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চা ও রক্ষায় গবেষণা ও বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছেন । আঞ্চলিক ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন ২০১৬ সাল থেকে।
তিনি আইপি টিভি মালিকদের বলিষ্ঠ সংগঠন আইপি টিভি ওনার্স এসোসিয়েশন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করে দেশজ সাংস্কৃতি ও বাংলা ভাষার বিশ্বায়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অগ্রনী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
তিনি ১৯৯৭ সালে আন্তর্জাতিক লিবারেল মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে উদার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ লিবারেল পার্টিতে যোগদান করেন চট্গ্রাম মহানগর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পরবর্তিতে কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে ৮ মে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম ৯ আসন হতে ও ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা- ১০ আসন হতে বৈঠা প্রতিকে অংশগ্রহণ করেন।
তিনি ওয়ান ইলেভেন এর সময় ১৪ দলের অন্যতম শরীক ও জাতীয় নেতা মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগে যোগদান করেন।
২০১২ সালে বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের যুগ্ম মহাসচিব এর দায়িত্ব পান। এরপর ২০১৪ সালে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও ২০১৬ সাল হতে মহাসচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ সামাজিক সাংস্কৃতিক ঐক্য জোট এর চেয়ারম্যান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি, কোস্টাল জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, আম্মা ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক, ওয়ান্ডার্স মিডিয়ার চেয়ারম্যান ও মার্চ মিডিয়া লিঃ এর ব্যবস্থাপনা, পরিচালক জনতার টেলিভিশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চ্যানেল কর্ণফুলীর সিইও, তর্কবাগীশ সাহিত্য পরিষদ, জাতীয় জাগো নারী ফাউন্ডেশন, জাতীয় নারী সাহিত্য পরিষদ ও গণআজাদী শিল্পী গোষ্ঠির প্রধান উপদেষ্টা সহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মানবাধিকার সংগঠন এর সাথে জড়িত আছেন।
বরেণ্য রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিকজন লায়ন মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খানের ৫১ তম শুভ জন্মদিনে জাতীয় রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সামাজিক, সাংস্কৃতি, মানবাধিকার সংগঠন, গণমাধ্যমের প্রধানগণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তার সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন।
সুন্দর ও আগামীর মাহসী যোদ্ধা আতা উল্লাহ খান এ দেশের নিরন্ন মানুষের পাশে থেকে সুখী সমৃদ্ধশালী এক বাংলাদেশ বিনির্মানের স্বপ্ন দেখেন।