লঞ্চ ডুবি : সংকটে এগিয়ে আসে তারুন্য

"" এমন সকাল কারো কাম্য নয়"

 

তামজিদ হোসেন
চাঁদপুর থেকে আসা ময়ুর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মর্নিং বার্ড নামক একটি লঞ্চ ডুবে যায় মাঝ নদীতে। গতকাল সোমবার সকাল ১০ টায় রাজধানীর ফরাশগঞ্জ-শ্যামবাজার এলাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে ৫০ জন যাত্রী নিয়ে মর্নিংবার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চটিতে কমপক্ষে ৫০ জন যাত্রী ছিল। ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ নারী ও ৩ শিশুসহ ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধারকরা হযেছে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই মুন্সিগন্জের বাসিন্দা। তবে এখনো মোট কতজন নিখোঁজ রয়েছে সেটা স্পষ্ট নয়।
লঞ্চটি থেকে কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে পাড়ে উঠলেও বাকিরা বেশ দ্রুত তলিয়ে যায়।
উদ্ধার কাজের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘটনার তদন্তে পৃথক তিন কমিটি গঠন করা হয়েছে।কমিটিকে এ দুর্ঘটনায় দায়ী ব্যক্তি বা সংস্থাকে শনাক্তকরণ এবং দুর্ঘটনা রোধে করণীয় উল্লেখকরে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছ। লঞ্চ দুটির সার্ভে ও রেজিস্ট্রেশন সনদ স্থগিত করা হয়েছে এবং ময়ূর-২ লঞ্চ টি আটক করা হয়েছে। মৃত প্রত্যেকের পরিবার দেড় লাখ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, বাংলাদেশ নৌ বাহিনী, বিআই ডব্লিউটিএ, কোস্টগার্ড ও অনান্য বাহিনী উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।
উদ্ধার অভিযানে সহযোগিতাযর অগ্রভাবে ছিল লালবাগ ফায়ার সিডিএমপি, আরবান কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার, বাংলাদেশ স্কাউট, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ফায়ারহাউস বাংলাদেশ সহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক বৃন্দ।

লালবাগ ফায়ার সিডিএমপির টিম লিডার জহির উদ্দিন আইএনবি কে জানান, ” লঞ্চডুবির পর থেকে এখন পর্যন্ত সকল উদ্ধারকারী দলের সাথে আমরা নিরলসভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে আসছি, আমরা একজনকে জীবিত উদ্ধার করতে পেরেছি, এবং আমরা চেষ্টা করছি সফল একটি উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করার “। এসময় তিনি আরো বলেন, অতীতের ন্যায়, ভবিষ্যৎ ও আগামীতেও দেশ ও জাতির অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্যোগময় মুহূর্তে লালবাগ ফায়ার সিডিএমপি থাকবে নির্ভীক কর্মে যে কোনো বলিষ্ঠ ভূমিকায়।

উল্লেখ্য, লঞ্চডুবিতে প্রানহানীর ঘটনায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বিএনপিসহ অনান্য রাজনৈতিক দলগলো শোক ও দুঃখ পকাশ করেন। আত্মীয় -স্বজনসহ শোক সন্তোপ্ত পরিবারের প্রতি গভীরসমবেদনা জানান।