রুশ সামরিক ব্লগার বিস্ফোরণে নিহতের পর এক নারী গ্রেফতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার সামরিকবিষয়ক ব্লগার নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছেন। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে একটি ক্যাফেতে বিস্ফোরণে এই ঘটনা ঘটে। এতে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে রুশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বিবিসির খবর অনুসারে, বিস্ফোরণে ভ্লাদলেন তারাস্কি নিহতের পর রুশ তদন্তকারী দল দারিয়া ত্রেপোভা নামে একজন নারীকে গ্রেফতার করেছে। ২৬ বছর বয়সী এই নারীকে আগেই রুশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘ওয়ান্টেড লিস্ট’এ রেখেছিল।

রাশিয়ার গণমাধ্যমে খবরে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের আগে তারাস্কির কাছে একজন নারী একটি মূতি দিয়েছিল। গুঞ্জন ছড়িয়েছে, ওই মূর্তির ভেতর কোনো বিস্ফোরক যন্ত্র লুকানো ছিল।
ব্লগার তারাস্কির আসল নাম ম্যাক্সিম ফোমিন। টেলিগ্রামে তার ফলোয়ার পাঁচ লাখ। ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের পক্ষে এসব ফলোয়ারদের অবস্থান।

সংবাদ সংস্থা তাস বলছে, তারাস্কি সামরিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ভিডিও প্রকাশ করতেন। সেনাদের সংগঠিত করার বিষয়ে পরামর্শ দিতেন।।

‘রাশিয়ার তথ্য সেনা’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া সাইবার ফ্রন্ট জেড নামের একটি গ্রুপ বলেছে, সন্ধ্যার সময় তারা ওই ক্যাফেটি ভাড়া নিয়েছিলেন। স্থানীয় গণমাধ্যম ফনতাঙ্কা বলেছে, ঘটনার সময় সেখানে কমপক্ষে ১০০ জন ছিলেন। সাইবার ফ্রন্ট জেড টেলিগ্রামে বলেছে, সেটি সন্ত্রাসী হামলা ছিল। তারা নিরাপত্তা জোরদার করেছিলেন, তবে সেটি যথেষ্ট ছিল না।

রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা দ্য রিয়া নভোস্তি তদন্তকাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, ক্যাফের ভেতরে ব্লগারের উদ্দেশে একটি মেয়ে মূর্তিটি ফেলে দেয়। ওই সময় ক্যাফেতে ছিলেন আলিসা সমোত্রোভা। তিনি এএফপিকে বলেন,‘মেয়েটি মূর্তিটি তারাস্কিকে দেন। মুহূর্তের মধ্যেই বিস্ফোরণ হয়। এরপর কেবল রক্ত ও কাচের ভাঙা টুকরো ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।’

আরেকটি সূত্রের বরাতে রিয়া নভোস্তি বলেছেন, তারাস্কি সন্দেহভাজন ওই প্যাকেজ সরবরাহকারীকে চিনতেন। তারা অন্য পথ দিয়ে চলে গিয়েছিলেন।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, তারাস্কির মতো ব্লগাররা সত্যের পক্ষে। তিনি বোমা হামলার ঘটনায় দ্রুত প্রতিক্রিয়া না দেওয়ার জন্য পশ্চিমা সরকারের সমালোচনা করেছেন।

আইএনবি/বিভূঁইয়া