রায়েরবাগে দ্বিতীয় দিনের মত পরিবহন শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজধানীর রায়েরবাগে দ্বিতীয় দিনের মত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিল পরিবহন শ্রমিকরা।

সম্প্রতি দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর লক্ষ্যে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে ঘরে থাকা বাধ্যতামূলক করে গণপরিবহন বন্ধসহ সারাদেশে চলছে লকডাউন। তাতে কর্মহীন হয়ে পড়ে পরিবহন শ্রমিকরা।

অতীতে পরিবহন নেতারা শ্রমিকদের কাছ থেকে গাড়ি প্রতি দৈনিক প্রায় হাজার টাকার মত চাঁদা নিয়েছে। গত শুক্রবার (৯মে) সেই চাঁদার টাকা থেকে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য রাস্তায় বিক্ষোভ করেন।

পরে পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় নেতাদের সাথে আলাপ করে সমস্যা সমাধান করার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা অবরোধ তোলে নেন।

এ বিষয়ে আরিফ নামে এক পরিবহন শ্রমিক আইএনবিকে বলেন, বছরের পর বছর আমাদের কাছ থেকে এইসব নেতারা লাখ লাখ চাাঁদা নিয়েছে আমাদের কল্যানের কথা বলে। অথচ আমাদের কল্যাণ করবে দুরের কথা, করোনার মহামারিতে ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেয়ে জীবন যাপন করছি কিন্তু তারা আমাদের খোঁজ খবরতো নেয় নাই বরং আমরা আমাদের অধিকার চাইতে যাওয়ায় আজকে নেতারা আমাদের মারতে আসে। গত শুক্রবার আমরা যখন রাস্তায় বিক্ষোভ করি তখন পুলিশ আমাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তাদের কথা মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু আজকে তারা উল্টা কথা বলছে।

তিনি আরোও বলেন, যখন রাস্তায় আমরা গাড়ি চালাতাম তখন সবসময় ইনকাম তেমন একটা হতনা। তখন চাঁদা না দিতে চাইলে আমাদের কাছ থেকে জোড় করে চাঁদা নিত। না দিতে পারলে রাস্তায় গাড়ি চালাতে দিতনা। অথচ আমরা সকারের সব রকম টেক্স ঠিকই দিতাম। এমন দিন গিয়েছে, সারাদিন গাড়ি চালিয়ে ওদের চাঁদার টাকা এবং গাড়ির মালিকের জমার টাকা দিয়ে আমাদের খালি হাতেই বাসায় যেতে হত। কিন্তু আজকে আমাদের দুর্সময়ে তারা আমাদের পাশে না থেকে আমাদের মারতে আসে।

রবিবার (১০মে) আশা স্বরূপ ফলাফল না পাওয়া পরিবহন শ্রমিকরা পূণরায় রায়েরবাগ বাস ষ্ট্যান্ডে প্রায় ২ঘন্টা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। তখন স্থানীয় নেতাদের সাথে বাকবিতর্ক সৃস্টি হয়। এক পর্যায়ে চাঁদা নেওয়া  স্থানীয় শ্রমিক নেতারা শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে তাদের উপর চড়াও হন।

পরবর্তিতে শ্রমিকদের তোপের মুখে নেতৃবৃন্দ তাদের লিখিত নাম দিতে বলেন। এবং সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করিলে শ্রমিকরা তাদের কথা বিশ্বাস করে আবারও অবরোধ তোলে নেন।

আইএনবি/সম্পাদনা-এমডি বাবুল ভূঁইয়া