রানির বদলে নিজেকে এবার রাজা মনে হচ্ছে!

বিনোদন ডেস্ক: আহমেদ হোসাইন নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে দশ-এর দশক শেষ হলো (২০১০-২০১৯)। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য এটি মূলত শূন্যতার দশক। দশে ধস—এভাবেও বলছেন কেউ কেউ। তবে শুরু হওয়া নতুন বছর কিংবা বিশ দশক (২০২০-২০২৯) নিয়ে প্রত্যাশার গল্পও শোনাচ্ছেন অনেকে। বিশে বিষক্ষয়—এভাবেও মূল্যায়ন করছেন কেউ কেউ।

আবার এমনও অনেকে আছেন, যাদের কণ্ঠে হতাশার সুর। বলছেন—দশক কিংবা নতুন বছর বলে কথা নয়। ক্যালেন্ডার বদলালেও কাজের পার্থক্য ১৯/২০! মানে সামান্যই।
‘দশে ধস’ আর ‘বিশে বিষক্ষয়’ অথবা ‘১৯/২০’ বিষয়ে সংস্কৃতির বিভিন্ন বিভাগের

আকাশচুম্বী প্রত্যাশা নেই, তাই কখনও হতাশ হইনি আমি। সুস্থ আছি, স্বাভাবিক আছি। খেয়ে-পরে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছি- ভালো থাকার জন্য এর থেকে আর বেশি কিছু কী লাগে বলেন?

গেল বছরটাতে আমি নিজে এবং ইউনিলিভারের হয়ে প্রচুর সোশ্যাল ওয়ার্ক করেছি। ইউনিলিভার পাশে ছিল বলে আমার কাজটা অনেক সহজ হয়েছে। এরজন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।

নতুন বছরে এসেও আমার চোখ তাকিয়ে আছে সেদিকে- যেন কেউ ঠান্ডা-জ্বরে কষ্ট না পায়। বছরজুড়ে দৃষ্টি থাকবে বন্যা কিংবা খরার দিকে। আমি এই বিষয়গুলো নিয়ে খুবই কনসার্ন। আমার যতটুকু সামর্থ্য, পুরোটা দিয়েই এই মানুষগুলোর পাশে থাকতে চাই।

এবার সিনেমার কথা বলি। মনে পড়ে, ২০১৫ সালে আমার প্রথম ছবি মুক্তি পায়। একই বছর সর্বাধিক মুক্তি পাওয়া ছবির নায়িকা ছিলাম আমি। বিষয়টি তখন খুব উপভোগ করেছি। নিজেকে রানি রানি লাগছিল। অথচ গেল (২০১৯) বছর মাত্র একটি ছবি মুক্তি পেয়েছে! যেটা আগের তিন বছরে ভাবিনি।

গেল কোরবানির ঈদে অসহায়দের মাঝে মাংস বণ্টন করছিলেন পরীতার মানে এই নয়, ১৯-এ একটি ছবি মুক্তি পাওয়ার পর নিজেকে রানি থেকে গরিব গরিব লাগছে! বরং এ বিষয়টি আমার আরও ভালো লেগেছে। রানির বদলে নিজেকে এবার রাজা মনে হচ্ছে!

কারণ, ‘স্বপ্নজাল’ (২০১৮) করার পর আমার ভেতরে একটা বিষয় খুব নাড়া দিয়েছে। সেটা হলো নায়িকা আর অভিনেত্রীর মধ্যে পার্থক্য। আমি আসলে নায়িকা হিসেবে এখন আর অসংখ্য ছবি করতে চাই না। অভিনেত্রী হয়ে বছরে এক-দুইটা ছবি মুক্তি পেলেই খুশি।

২০২০ সাল হচ্ছে অভিনেত্রী আর সমাজসেবক হিসেবে নিজেকে খুশি করার বছর। এর বাইরে আমার আর কিছু চাওয়ার নেই।

পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণ নিরাপদ থাক। বছরের শুরুতে এই কামনা রেখে গেলাম।
বাংলা ট্রিবিউন

আইএনবি/বিভূঁইয়া