রাজারহাট-সেলিমনগর ৮ কি:মি:পাকা সড়কে শতাধিক গর্ত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রাজারহাট-সেলিমনগর ৮ কিলোমিটার পাকা সড়কে শতাধিক খানা-খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় চরম জনদূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।

এই সড়কে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্র্যাক, মটরসাইকেল, রিক্সা অটোরিক্সা,মাইক্রোবাস,ঢাকাগামী ডে-নাইট কোচসহ সব ধরনের যানবাহনকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করতে হচ্ছে। এতে যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চালক ও যাত্রীরা।

রাজারহাট উপজেলা সদর বাজার থেকে সেলিমনগর (খেদাবাগ) সড়কের দুরত্ব ৮ কিলোমিটার। এ সড়কটির পার্শ্বে ৫০শর্য্যা বিশিষ্ট রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উত্তরাঞ্চলের একমাত্র কৃষি আবহাওয়া অফিস রয়েছে। সড়কটি উপজেলার ছিনাই ইউনিয়ন পরিষদ ও পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট জেলার একমাত্র সংযোগ সড়ক। সড়কটি দিয়ে চিলমারী, উলিপুর, কুড়িগ্রাম ও রাজারহাট উপজেলার হাজারো মানুষজন বিভিন্ন কাজের জন্য প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেন। ফলে রাজারহাট-সেলিমনগর (খেদাবাগ) সড়কটি ২৪ ঘন্টায় ব্যস্ততম থাকে। বিগত ৩ বছর পূর্বে এলজিইডি বিভাগের আওতায় সড়কটি মেরামত ও সংস্কার করা হলেও বছর না ঘুরতেই সড়কটি সম্পূর্ণ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়।

দীর্ঘদিন ধরে ওই সড়কের কার্পেটিং ও ইটের খোয়াসহ মাটি উঠে গিয়ে শতাধিক স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া শত শত খানা-খন্দ হওয়ায় যান চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় চালক ও যাত্রীদের।

চালক, যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ,এক বছরের বেশী সময় ধরে সড়কটির কার্পেটিং উঠে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে শতাধিক গর্ত। দিনের বেলায় গাড়ি চলাচল কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে আর রাতে-তো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালাতে হয়। গাড়ির গতি ১০-১৫ উপরে তোলা দুস্কর। তাই সড়কটি ব্যস্ততম হওয়ায় প্রতিদিনেই প্রায় ছোট-খাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়া এ সড়ক দিয়ে শত শত স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা পড়–য়া শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজারহাট উপজেলার বিদ্যাপীঠগুলোতে যাওয়া-আসা করছে।

এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা প্রকৌশলী আবু তাহের মো.শফিউল্লাহ্ জানান, রাজারহাট-সেলিমনগর(খেদাবাগ) সড়কটির সংস্কার কাজের টেন্ডার হয়েছে। শীঘ্রই রাস্তার দু-ধারে মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করে সড়কটির সংস্কারের কাজ দ্রুত করা হবে।

আইএনবি/এম.আ/বিভূঁইয়া