রাজধানীর বুড়িগঙ্গায় (সেতু-১) পারাপারের নামে চাাঁদাবজি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বুড়িগঙ্গা সেতু-১ পারাপারের (শুল্ক) নামে ব্যাপক চাঁদাবাজি।

সোমবার (১৪অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন পরিবহন থেকে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে এক শ্রেণীর লোক। অনেকদিন ধরেই চলছে এই চাঁদাবজি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেখানকার একজন আইএনবি’কে জানায়, প্রভাবশালেদের ছত্রছায়ায় সেতু পারাপারের নামে দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই চাঁদাবাজি। এর আগে র‌্যাব বহুবার চাঁদা আদায়কারীদের ধরে নিয়ে গিয়েছে। কিছুদিনের জন্য চাঁদা নেওয়া বন্ধ থাকলেও পূণরায় আবার চালু হয়। তবে আগে ট্রাক সহ বিভিন্ন ভারী পরিবহন থেকে চাঁদা আদায় করা হত। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে বিভিন্ন মোটর সাইকেল থেকে ১৫ টাকার একটি রশিদ দিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করছে।

তিনি আরও বলেন, একটি সংঘবদ্ধ প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এই চাঁদা আদায়ের কাজ করছে।

গোপনে আইএনবি’র প্রতিবেদক একটি রশিদ সংগ্রহ করেন, যার মধ্যে লেখা আছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত। ইজারাদার কে আলম শিপিং লাইন। অথচ সেই রশিদে নেই কোন সরকার অনুমোদিত রেজিঃনং।

জানা যায়, বুড়িগঙ্গা সেতু-১ এর পারাপারের টোলের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে।

এখন প্রশ্ন হল কে আলম শিপিং লায়ন, কে এই ইজারাদার ? কোন শক্তির বলে মেয়াদ উত্তীর্ণ সেতু থেকে শুল্কের নামে চাঁদা আদায় করছে। যদিও আমাদের প্রতিবেদকের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেনি চাঁদা (টোল) আদায়কারীর লোকজন। আমাদের প্রতিবেদকের বিভিন্ন প্রশ্ন করার জন্য উত্তেজিত হয়ে আক্রমন করার চেষ্টা করে।

এথন সত্যিই কি এই (শুল্ক) চাঁদা আদায়ের জন্য সরকারের কোন অনুমোদন আছে কিনা নতা জানার বিষয়।

আইএনবি/বিভূঁইয়া