রাজধানীতে প্রবেশ ও বের হওয়ার মুখেই ভোগান্তি

আইএনবি ডেস্ক: আসন্ন ঈদযাত্রায় শঙ্কায় ভুগছে ঢাকাবাসী। ঢাকা থেকে বের হওয়ার সাত মুখে যানজট । শুধু রাজধানী থেকে বের হওয়াই নয়, প্রবেশের ক্ষেত্রেও যানজটের ধাক্কা ঘণ্টার পর ঘণ্টা
সামাল দিতে হচ্ছে।

প্রবেশ এবং বের হওয়ার পথগুলো হচ্ছে গুলিস্তান-সায়েদাবাদ-যাত্রীবাড়ী, দোলাইপাড় মোড়-জুরাইন রেলক্রসিং, বংশাল মোড়-বাবুবাজার ব্রিজ, গাবতলী মোড়-আমিনবাজার ব্রিজ, আব্দুল্লাপুর মোড়-কামারপাড়া, যাত্রাবাড়ী-ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার মোড় ও সাইনবোর্ড-কাঁচপুর ব্রিজ। এসব সড়ক দিয়ে রাজধানী থেকে বের হতে লেগে যাচ্ছে দেড় থেকে ২ ঘণ্টা পর্যন্ত।

গুলিস্তান-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ীর দূরত্ব ২ কিলোমিটার পার হতে সময় লাগে ২০ থেকে ৩০ মিনিট। আর বর্তমানে সেখানে এক থেকে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় যানজটে। ১০ মিনিটের সড়ক গাবতলী মোড়-আমিনবাজার ব্রিজ। সেখানে এই অংশ পার হতে সময় লাগছে এক ঘণ্টা। ৩ কিলোমিটার সড়ক যাত্রাবাড়ী-ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার মোড় পর্যন্ত। সেখান থেকে বের হওয়া ও প্রবেশর সময় লাগার কথা ৩০ মিনিট। সেখানে লেগে যাচ্ছে দেড় ঘণ্টা। এভাবেই রাজধানীবাসীদের ঢাকা থেকে বের হতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

ঢাকা-বরিশাল ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের যাত্রীরা রাজধানীতে প্রবেশ ও বের হয় গাবতলী, মহাখালী, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, পোস্তগোলা ও বাবুবাজার ব্রিজ দিয়ে। ঢাকা থেকে বের হওয়ার মুখেই যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে জুরাইন রেলগেট, বংশাল মোড় থেকে বাবুবাজার ব্রিজের পর্যন্ত ১-২ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে ঘরমুখো যাত্রীদের। এর মধ্যে জুরাইন রেলগেটে এলাকায় রাস্তা দখল করে ফুটপাতের দোকান, এলোমেলোভাবে গাড়ি পার্কিং ও ট্রাফিকের অব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিনিয়ত এই সড়কগুলোতে যানজট গেলে থাকে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।

রাজধানী থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতের প্রবেশদ্বারগুলোতে মানুষজনকে অসহনীয় যানজটে দুর্ভোগ পোহানোর অভিযোগ স্বীকার করেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

তিনি জানান, এসব এলাকায় যানজট নিয়ন্ত্রণে রাস্তার মোড় পরিষ্কার রাখা ও ছোট যানবাহন বিশেষ করে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক প্রধান সড়কে চলাচল বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে আগামী ২৫ রমজান থেকে যানজটে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিচালক (প্রশাসন) মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, বনানীর প্রধান কার্যালয়ে তৃতীয় তলায় একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, বিআরটিএ ও বিআরটিসির সমন্বয়ে। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত আট দিন বিভিন্ন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন।

আইএনবি/বিভূঁইয়া