রাখাইনের বাজারে জান্তার গোলাবর্ষণ, নিহত ১২, আহত ৮০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর গোলাবর্ষণে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ রাখাইনের একটি ব্যস্ত বাজারে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন ৮০ জনেরও বেশি মানুষ।

মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা ঘটেছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। খবর ইরাবতির।

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইনের বেশ কিছু এলাকা বর্তমানে নিয়ন্ত্রণ করছে আরাকান আর্মি। গোষ্ঠীটির হাই কমান্ড জানিয়েছে, রাখাইনের রাজধানী ও বন্দরনগরী সিত্তের কাছে একটি যুদ্ধজাহাজ থেকে বৃহস্পতিবার সিত্তয়ের একটি বাজার লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এ সময় বাজারে অনেক লোকের ভিড় ছিল।

বিবৃতিতে আরাকান আর্মি জানায়, আহতদের সিত্তয়ে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জান্তা সরকার হাসপাতালটি দখল করেছে এবং গুরুতর আহত পাঁচ ব্যক্তিকে ইয়াংগুনের একটি হাসপাতালে সামরিক উড়োজাহাজে করে স্থানান্তর করা হয়েছে। সিত্তয়েতে বেশিরভাগ মেডিকেল কর্মীরা রাখাইন রাজ্য থেকে নিরাপদ জায়গায় চলে যাওয়ায় এখানে স্বাস্থ্যকর্মীর সংকট রয়েছে।

আরাকান আর্মি শহরটিতে হামলা চালাতে পারে এ আশংকায় এখানকার আবাসিক এলাকা ও বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে জান্তা বাহিনী।

২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষ দিক থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জোট পিপলস ডেমোক্রেটিক ফোর্স (পিডিএফ)। পিডিএমভুক্ত তিন গোষ্ঠী ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএ), আরাকান আর্মি (এএ) এবং তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) এই সংঘাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই তিন গোষ্ঠী একত্রে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স নামেও পরিচিত।

গত প্রায় চার মাসের সংঘাতে মিয়ানমারের অন্তত ৪০টি শহর এবং গুরুত্বপূর্ণ শান প্রদেশসহ অন্তত ৫টি প্রদেশ দখল করে নিয়েছে পিডিএফ। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইন প্রদেশ দখলের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে আরাকান আর্মি।

 

আইএনবি/বিভূঁইয়া