মৎস্যজীবি লীগ নেতা লায়ন শেখ আজগর নস্করের অপ্রচারের নিন্দা

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিভিন্ন নামসর্বস্ব কথিত অনলাইন নিউজ পোর্টালে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থান নষ্ট করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগি সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর নস্কর।
তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে আসছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। এসব অনলাইনের সরকারি কোনো অনুমোদন না থাকলেও কিছু দিন যাবৎ দেশের স্বনামধন্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
দ্বাদশ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই তার সামাজিক-রাজনৈতিক অবস্থান নষ্ট করাসহ সার্বিক সম্মানহানি করতে সংঘবদ্ধ ওই চক্রটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। চক্রটি শুধু ব্যক্তি আজগর নস্করের সম্মানই নয়; বরং তার সমর্থিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও তথাকথিত ভুয়া অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ বিভিন্ন ফেসবুক পেজ ও আইডির মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অগ্রহণযোগ্য, মানহানিকর তথ্য/উক্তি ধারাবাহিক করছে।
অপপ্রচার নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর নস্কর বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কোন উড়ে এসে জুড়ে বসা দল নয়। চাইলেই এই দল ও সংগঠনকে প্রদীপের মতো ফুঁক দিয়ে নিভিয়ে ফেলা সম্ভব নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে যেমন পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বাংলাদেশ। তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সেই দেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। উগ্রবাদের কড়াল গ্রাস মোকাবিলা করেও মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে ক্ষুধাপীড়িত দেশকে নিজস্ব ‘দারিদ্র বিমোচন মডেল’ -এর মাধ্যমে আধুনিক-আত্ননির্ভর রাষ্ট্রে রুপান্তরিত করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং জাতীয় চারনেতাকে খুনের পর যে দুঃসহ পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যেতে হয় বাংলাদেশকে, সেই হিংস্র থাবায় কিছুটা দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাকারী দল আওয়ামীলীগ। কিন্তু পরবর্তীতে দেশে ফিরে এসে আওয়ামীলীগ পূর্ণ গঠনের মাধ্যমে নিপীড়িত বাঙালী জাতিকে আবারো জীবনের স্বপ্ন দেখান জননেত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ আজগর নস্কর বলেন, মিডিয়া জাতির বিবেক ও রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে দূর্নীতি, অনিয়ম, ও স্বাধীনতা বিরোধী কালো শক্তির বিরুদ্ধে তাদের ভ‚মিকা ও অংশগ্রহণ স্পষ্ট রাখার কথা থাকলে ও কিছু জামায়াত ও বিএনপি পন্থী মিডিয়া ও অন্তরালের হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন ও বানোয়াট তথ্য অপপ্রচার করে জামায়াত বিএনপি’র লালিত স্বাপ্ন বাস্তবায়নের এজেন্ডা হিসেবে কাজ করছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদূর প্রসারী নেতৃত্ব ও উন্নয়ন কর্মকান্ড তাদের সহ্য হয় না। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে পাকিস্তান রাষ্ট্রে পরিণত করে জঙ্গিবাদের উথান ঘটানো। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে একাধিকবার হত্যার পেছনে জামায়েত বিএনপি’র সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রমাণিত ঠিক তেমনি বিএনপি জামায়েতের দূর্নীতি, দুঃশাসন, জ্বালাও পোড়াও, লুটপাটে নিরবতা ও উৎসাহ প্রদানে এসকল হলুদ মিডিয়ার সম্পৃক্ততা মোটেও অস্বীকার করা যায় না।উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পথ রুদ্ধ করার মতো শক্তি ক্সতরি করতে না পেরে এখন তাদের প্রধান অস্ত্র হচ্ছে অপপ্রচার। প্রপাগান্ডা ও মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন ও অপপ্রচারের মাধ্যমে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের কংলকিত ও কলুষিত করার চক্রান্ত নতুন নয়। নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, তাদের চোখে ঘুম নেই, তারা নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ত্যাগী ও সাংগঠনিক নেতাকর্মীরাই তাদের প্রধান টার্গেট। মিথ্যা কংলকের প্রলেপ লাগিয়ে সংগঠন থেকে নেতা কর্মীদের দূরে সরিয়ে ক্ষমতা দখলের দিবাস্বপ্ন কখনোই তাদের পূরণ হবে না। যেখানে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তারা মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে সেখানে আমি হচ্ছি জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন ক্ষুদ্র কর্মী। শুধু আমার বিরুদ্ধেই নয়, যখন যাকে টার্গেট প্রয়োজন তখন তাকেই টার্গেট হিসেবে শিকার করা হচ্ছে। যারা আপোষ করবেন না, যারা নতুন রাইজিং লিডার, যারা তৃণমূল থেকে উঠে এসেছেন প্রতিনিয়ত তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা নিউজ ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমরা তার বাহিরে নই। অপপ্রচার, অপবাদ দেখতে দেখতে সহ্য হয়ে গেছে। অন্যায়ের সাথে কখনো আপোষ করিনি, ভবিষ্যতে ও করবো না। জামায়াত, বিএনপি ও তাদের এজেন্ডার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলমান থাকবে। কখনোই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির সাথে আপোষ
করবো না।
লায়ন শেখ আজগর নস্কর বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগেকে একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামোতে দাঁড় করানোর জন্য দীর্ঘদিন থেকে কঠোর চেষ্টা ও পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছি। সংগঠনের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে সংগঠনের শান্তি, শৃংখলা ও বির্তক এড়াতে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহনে আমি মোটেও বিলম্ব করিনা। এতোমধ্যে কিছু স্বার্থান্বেষী, বিতর্কিত মহল আমার সাংগঠনিক কর্মকান্ড ও
ব্যক্তিগত ইমেজ নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। মিথ্যা, বানোয়াট এসকল অপপ্রচারে আমি মোটেও বিচলিত নই। আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করছি। সাংগঠনিক কার্যক্রমে সবার চাহিদা সমানভাবে পূরণ করা সম্ভব নয়। সংগঠনের গতিশীলতা বৃদ্ধি ও কার্যক্রম উন্নয়নে যোগ্য নেতৃত্ব ক্সতরি করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। বিএনপি, জামায়াত, শিবিরের বিরুদ্ধে যেকোনো পরিস্থিতিতে মোকাবিলায় আমি ও আমার সংগঠন সর্বদাই প্রস্তুত। জননেত্রী শেখ হাসিনার “ভিশন-৪১” বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ দৃঢ় প্রত্যয়, সততা ও সাহসীকতার সহিত নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। কোনো অপশক্তি আমাদের সাংগঠনিক কর্মকান্ড ব্যাহত করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ্।