মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে পিতা গ্রেফতার

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ১৬ বছর বয়সী মেয়েকে আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগে উঠেছে মেয়েটির পিতা শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে ধর্ষণের শিকার ওই মেয়েটি জানায়, তার বাবা শরিফুল ইসলাম তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করেন। পরে তার ওপরে শারীরিক নির্যাতনের কথা তার দাদা-দাদিকে জানালে বিষয়টি সমাজের কাউকে বলতে নিষেধ করেন তারা।

পরবর্তীতে ধর্ষণের শিকার ওই মেয়ে বাদী হয়ে বাবার বিরুদ্ধে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে মেয়েকে ধর্ষনের অভিযোগে মানিকগঞ্জ থেকে কথিত এই সাধক শরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে সিআইডি। গতকাল বুধবার মালিবাগ সিআইডির প্রধান কার্যালয়ের ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান।

এসময় ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম জানান, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানাধীন বসন্তপুর বাগডাংনী দুর্গম চর এলাকার শরিফুল হঠাৎ করে সন্ন্যাসী বেশ ধারণ করেন। তার সন্ন্যাসী হওয়াতে ২ বছর আগে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। এসময় মেয়েও নাটোরে দীঘাপতিয়া পূর্ব হাগুরিয়া গ্রামে নানার বাড়িতে চলে যায়। ঈদুল আজহার ৬ দিন আগে শরিফুল বিভিন্ন কৌশলে মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে আনার পর সে মেয়েটির ওপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে মেয়েকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। বাড়িতে লোকজন এলে মেয়েটির সঙ্গে কাউকে দেখা বা কথা বলতে দেয়নি সে।

শেখ নাজমুল আলম আরও বলেন, মেয়েটি কৌশলে তার নানার-নানির সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে মা ও নানি মেয়েকে উদ্ধার করেন। পরে মেয়ে বাদী হয়ে বাবার বিরুদ্ধে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শরিফুল মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।এবং সে মানসিক অসুস্থ নয় সে সুস্থ মস্তিষ্কে তার মেয়েকে এভাবে নির্যাতন করেছে বলে তিনি জানান।

আইএনবি/বি.ভূঁইয়া