মা খুন ও বাবা কারাগারে, অসহায় শিশুদের পাশে পুলিশ সুপার

মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন হওয়ায় ঘটনায় অসহায় দুই শিশু ও বাড়িতে খাদ্য এবং নগদ অর্থ পৌঁছে দিল জেলা পুলিশ।

শুক্রবার (১২ জুন) রাতে নগদ অর্থ এবং খাদ্য সামগ্রী চাল, ডাল, আটা, সেমাই, চিনি, ও পেঁয়াজ সহ খাদ্য সামগ্রী তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়।

গত ৫ জুন রাতের জোড়া খুনের ঘটনাটি ছিলো শ্রীমঙ্গলে ব্যাপক আলোচিত। ঘটনার দু’দিন পরেই জোড়া খুনের প্রধান আসামি আজগর আলীকে আটক করে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। আসামি আজগর আলী ওই রাতে নৃশংসভাবে খুন করে তার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (২৫) ও তার মা জায়েদা বেগম (৫৫)কে। গত ৭জুন মৌলভীবাজার বিজ্ঞ আদালতে আসামি আজগর আলীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় যে তার হাতেই লোহার পাইপ দ্বারা খুন হয়েছে শাশুড়ি জায়েদা ও স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার।

আজগর আলীর একটি ভুলের কারণে তার দু’টি অবুঝ শিশুর জীবনে নেমে আসে অনিশ্চয়তার অন্ধকার। ৭ বছরের শিশু ইব্রাহিম ও ৫ বছরের শিশু ফাহিমের মুখে দেখা যায় অন্ধকারের ছাপ। শিশু দু’টি অসহায় হয়ে পড়েছে এই পৃথিবীতে। মা ও নানী খুন হন। আর খুনের মামলায় বাবা আজগর আলীর এখন কারাগারে।

স্থানীয়দের মাধ্যমে শিশু ইব্রাহিম ও শিশু ফাহিম এবং বৃদ্ধা ফুলচান বেগমের অনাহারে দিন কাটানোর খবর পান মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার। এ খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মো.ফারুক আহমেদ নির্দেশে (শ্রীমঙ্গল- কমলগঞ্জ সার্কেল) এর সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. আশরাফুজ্জামানের সার্বিক তদারকি ও শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুছ ছালেক এর উদ্যোগে অসহায় শিশু দু’টি ও বৃদ্ধা ফুলচান বেগমের দুই মাসের খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ সিন্দুরখান ইউনিয়নের বেলতলী গ্রামে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এসব পৌঁছে দেন শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন, উপ-পরিদর্শক মো. মুহিন উদ্দিন।

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান বলেন, দিনভর শ্রীমঙ্গলে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। এই অবস্থায় জানতে পারি, শিশু দু’টির অনাহারে দিন কাটানোর কথা। জেলা পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদের নির্দেশে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আব্দুছ ছালেকের সঙ্গে কথা বলে তাদের জন্য দুই মাসের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। প্রয়োজনে তাদের সবসময় সাহায্য করা হবে বলেও জানান তিনি।

আইএনবি/বি. ভূঁইয়া