মাদারীপুর প্রতিনিধি:দুদকের হট লাইন ১০৬ নম্বরে কলের মাধ্যমে এবং বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে রোগীর দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার (৬ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের ৭ জন সদস্য।
বিভিন্ন ধরণের নথি যাচাই ও রোগীর সাথে কথা বলেন তারা। এ সময় সরকারি ওষুধ ক্রয় ও বিতরণসহ নানা অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পান কর্মকর্তারা। পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়া নেয়া হবে বলে জানায় সংস্থাটি।
মাদারীপুর সদর উপজেলার চরনাচনা গ্রাম থেকে হাসপাতালে আসা রোগী বাবুল আক্তার বলেন, ‘অধিকাংশ ওষুধ বাহির থেকে কিনে নিয়ে আসতে হয়েছে। তাদের কাছে চাইলে বলে, সরবরাহ নেই।’
মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর থেকে আসা মরিয়ম বেগম নামে আরেক রোগী বলেন, ‘রোগ ভাল করতে হলে বাহির থেকে ওষুধ কিনে নিতে হয়। ডাক্তার যে যে ওষুধ লিখে, তা হাসপাতালে পাওয়া যায় না। সরকারি হাসপাতালে এমন স্বাস্থ্যসেবা লজ্জাজনক।’
মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শিহাব চৌধুরী বলেন, ‘গণমাধ্যমে কথা বলতে নিষেধ আছে। এ ব্যাপারে বক্তব্য দিবে সিভিল সার্জন স্যার। আমি কিছুই বলতে পারবো না।’
মাদারীপুর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আকতারুজ্জামান জানান, ‘একাধিক অভিযোগ পেয়ে হাসপাতালে অভিযানে যায় দুদকের একটি চৌকস দল। প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন অনিয়মের সত্যতা পাওয়ার বিষয় প্রধান কার্যালয়ে লিখিত পাঠানো হবে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এদিকে এ ব্যাপারে জানতে জেলার সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহম্মেদ খানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। দাপ্তরিক কাজে বাইরে থাকায় এমনকি অফিসে গিয়েও তার দেখা মেলেনি।
আইএনবি / বিভূঁইয়া