মাদারীপুরে প্রেমিকা হত্যায় প্রেমিকের ফাঁসি

মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুরে প্রেমিকা ফরিদা আক্তারকে হত্যার দায়ে প্রেমিক শহিদুল মোল্লাকে (৪২) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত শহিদুল মোল্লা উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণদী এলাকার মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে।

মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, শহিদুল মোল্লার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মহিষেরচর এলাকার আব্দুল করীমের মেয়ে ফরিদা আক্তারের। ফরিদা ২০০৮ সালের ৬ মে সকালে শহিদুল মোল্লার সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। পরদিন ৭ মে সকালে কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ ধুয়াসার এলাকার কাদের কবিরাজের পেঁপে বাগান থেকে ফরিদার মৃতদেহ উদ্ধার করে কালকিনি থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল হান্নান ওই দিনই শহিদুল মোল্লা ও অজ্ঞাতনামা আরো বেশ কয়েকজনকে আসামি করে কালকিনি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর পরই শহিদুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরে এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালকিনি থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ঘটনা তদন্তের পর ২০০৯ সালের ২২ জুন শহিদুল মোল্লাকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। দীর্ঘ ১৪ বছর যুক্তিতর্ক শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মঙ্গলবার এ রায় দেন বিচারক।

মামলার বাদী নিহতের ভাই আব্দুল হান্নান বলেন, ১৪ বছর পর আমার বোন হত্যা মামলার রায় পেলাম। আদালতের এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আদালতের কাছে একটাই দাবি, এ রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়।

মাদারীপুর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, শহিদুল মোল্লা ভিকটিমকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও বিয়ে করেননি। পরে ভিকটিমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন। এ রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।

আইনবি/বিভূঁইয়া