কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে গতকাল মঙ্গলবার মরিচ্যা যৌথ চেক পোস্টে এক অভিযান চালিয়ে একটি মিনি পিকআপ থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৩ পাচারকারিকে আটক করেছে।
বিজিবি-৩০ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইব্রাহীম ফারুকের নেতৃত্বে বিজিবির একটি অভিযানিক দল দীর্ঘ অভিযান পরিচালনা করে। তবে ইয়াবার চালানটির মূল হোতা মো. শাকিল পালিয়ে যান।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা জানতে পারেন যে কোটবাজার থেকে রামু বাইপাসগামী একটি মিনি পিকআপযোগে (চট্ট মেট্রো ন ১১-৬৮৭১) প্রচুর পরিমাণ ইয়াবা পাচার হবে। এ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বিজিবি সদস্যরা মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করেন।
আটক হওয়া পাচারকারীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ইয়াবার মূল মালিক শাকিলের রামু ফুটবল চত্বর থেকে এসব ইয়াবা বুঝে নেয়ার কথা ছিল। শাকিলকে আটকের জন্য ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের নেতৃত্বে ১০ জনের একটি বিশেষ টহল দল আটককৃত বোরহানকে নিয়ে রামু ফুটবল চত্বর এলাকায় যান। সেখানে ইয়াবার চালান নিতে আসা দুজনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া গ্রামের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে নূরুল আজিম (২৬) এবং রামুর মেরুংলোয়া গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে আব্দুর রহিম (১৯)।
আটককৃত দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানায় বিজিবি। জানা গেছে, মো. শাকিল (৩০) চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ইদ্রিস আলমের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা কারবারে সম্পৃক্ত। বেশ কয়েকজনের একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবা কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। শাকিল রামুর চৌমুহনীতে একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। পরে তার বাড়িতে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে তিনি আগেই পালিয়ে যান। ও ৫টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। ইয়াবাসহ আটককৃত মালামালের সর্বমোট সিজার মূল্য এক কোটি ৬০ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা বলে জানায় বিজিবি।
আইএনবি/বিভূঁইয়া